দুদকের মামলায় মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারসহ ২ জনের কারাদণ্ড
এম এ আউয়াল, সেনবাগ (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
দুদকের মামলায় সেনবাগ উপজেলার সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারসহ দুই জনকে কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
২০১৭ সালে নোয়াখালীর সুধারাম থানায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবদুল ওহাব ও সেনবাগ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কার্যালয়ের সাবেক অফিস সহকারী আমিন উল্যার বিরুদ্ধে রোববার দুপুরে বিভিন্ন মেয়াদে সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন নোয়াখালীর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক এ এন এম মোর্শেদ খান।
সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সেনবাগ উপজেলার কেশারপাড় ইউনিয়নের মজির খিল গ্রামের মৃত নুর মিয়া সওদাগরের ছেলে ও অফিস সহকারী মো. আমিন উল্যাহ উপজেলার পশ্চিম কাবিলপুর গ্রামের মৃত তবারক আলীর ছেলে।
দুদকের নোয়াখালী সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মাসুম শিবলী সোমবার দুপুরে মোহনা টেলিভিশনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, রায়ে আসামি মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল ওহাব কমান্কেডারকে এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও মো. আমিন উল্যাহকে দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ডসহ অর্থদণ্ড করেন বিচারক। পরে আদালত থেকে দুই আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালের একটি মামলা থেকে অব্যাহতি পেতে আসামিরা ২০১৭ সালের ১৬ অক্টোবর দুদকের তৎকালীন সহকারী পরিচালক (বর্তমানে উপ-পরিচালক) মশিউর রহমানকে নোয়াখালী কার্যালয়ে ২ লাখ ২০ হাজার টাকা ঘুস দিতে যান। এ ঘটনায় তাদের গ্রেফতার করে মশিউর রহমান বাদী হয়ে সুধারাম মডেল থানায় মামলা করেন। পরে দুদকের ঢাকা কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক মো. আলতাফ হোসেন মামলাটি তদন্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে সেনবাগ উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই বাছাই কমিটি ঘুষ নিয়ে তালিকাভূক্তির অভিযোগ এনে অপর একটি গ্রুপ দুদকে মামলা করেন।ইউএনও’র তৎকালীন অফিস সহকারী আমিন উল্যা মামলাটি খালাস করার কথা বলে আবদুল ওহাব কমান্ডার থেকে ২ লাখ ২০ হাজার টাকা গ্রহন করেন। ঘুষের টাকা নিয়ে আমিন উল্যা দুদকে গেলে দুইজনকে আটক করে দুদক। একই দিন দুদক দুইজনকে সুধারাম থানায় মামলা দিয়ে সোপর্দ করলে বিজ্ঞ আদালত তাদেরকে জেল হাজতে প্রেরণ করে।