ময়মনসিংহে অটোরিক্সা চালককে হত্যার ঘটনায় ২ জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব
রুবায়েত বাপ্পী,ময়মনসিংহ ব্যুরো
ময়মনসিংহে অটোরিক্সা চালককে হত্যার ঘটনায় ২ জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব- ১৪। একই হত্যাকান্ডে জড়িত ৩ জনকে আটক করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। মোট আটক ৫ জন।
ময়মনসিংহের তারাকান্দায় অটোরিকশা চালক খালেক‘কে হত্যা করে অটোরিকশা ছিনতাইকারী সহ ছিনতাইকৃত অটোরিকশা উদ্ধার এবং হত্যার সাথে জড়িত দুই জনকে আটক করেছে র্যাব-১৪। আটকৃতরা হলেন মোঃ শহিদুল ইসলাম রতন ও মোঃ সুমন মিয়া। গতকাল রাতে (বৃহষ্পতিবার) তাদেরকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
আজ শুক্রবার(৩০ জুন) দপুরে ময়মনসিংহ র্যাব ১৪ এর কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিং করেন অতিরিক্ত ডিআইজি ও র্যাব-১৪ এর অধিনায়ক মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খান।
র্যাব জানান, বৃহস্পতিবার ঈদের দিন সকালে তারাকান্দা উপজেলার কামারিয়া ইউনিয়নের পূর্বপাড়া গ্রামের একটি ডোবায় আব্দুল খালেকের লাশ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে মো. সোহাগ বাদী হয়ে তারাকান্দা থানায় অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। ঘটনাটি জানতে পেরে ছায়াতদন্ত শুরু করে র্যাব। পরে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ ও বিশ্লেষণের মাধ্যমে হত্যার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করে ঐ দুইজনকে গ্রেফতার করে অটোরিকশাটি উদ্ধার করা হয়।
র্যাব আরো জানায়, আব্দুল খালেক ও শহিদুল ইসলাম রতন পূর্বপরিচিত ছিলেন। এজন্য রতন প্রায়ই আব্দুল খালেকের অটোরিকশা দিয়ে তার বাড়িতে যাতায়াত করতেন। রতন ও সুমন মিয়া ঋণগ্রস্ত হওয়ায় তারা অটোরিকশাটি ছিনতাই করে ঋণ পরিশোধের পরিকল্পনা করেন। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী রতন গত বুধবার বিকেলে আব্দুল খালেকের অটোরিকশা রিজার্ভ ভাড়া করে সদরের শম্ভগঞ্জ ব্রিজ এলাকা থেকে জয়বাংলা বাজারে যায় এবং সুমন মিয়াকে ফোন করে ডেকে নেন।
এই বাজার থেকেই শ্বাসরোধ করে হত্যার জন্য রশি কিনে নেন তারা। পরিকল্পনা অনুযায়ী রতন পথে গাঁজা কিনে আব্দুল খালেককে সেবন করতে প্রলুব্ধ করেন। আব্দুল খালেক গাঁজা সেবন করে নেশাগ্রস্ত হয়ে কিছুটা ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েন। এমতাবস্থায় রতন তাকে অটোরিকশার পেছনে বসান এবং সুমন অটোরিকশাটি চালিয়ে তারাকান্দা উপজেলার কামারিয়া ইউনিয়নের পূর্বপাড়া গ্রামে নিয়ে যান। সেখানে আব্দুল খালেককে প্রথমে তারা হাত দিয়ে গলা টিপে শ্বাসরোধের চেষ্টা করেন। কিন্তু মৃত্যু না হওয়ায় রশি গলায় পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করেন। পরে মৃত্যু নিশ্চিত করতে গলায় উপর্যুপরি কয়েকবার কিল-ঘুষি মারেন। এরপর সুযোগ বুঝে আব্দুল খালেকের লাশ রাস্তার পাশের ডোবায় ফেলে দিয়ে অটোরিকশাটি নিয়ে চলে যান।
গ্রেফতারকৃত দুইজনকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানায় র্যাব-১৪।