সংবাদ সারাদেশ

ভৈরবে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হাতি দিয়ে চাঁদাবাজি

মো. জামাল আহমেদ, ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি

দীর্ঘদিন ধরে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছে বিশালদেহী হাতি কিশোরগঞ্জের ভৈরবের বিভিন্ন সড়ক,  মহল্লা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হাতি নিয়ে ঘুরে ঘুরে চাঁদাবাজি করে আসছে কতিপয় ব্যক্তিরা।

ভৈরব বাজারের বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও অলিগলিতে হাতি নিয়ে ঘুরে চাঁদা তোলার ফলে ভয়ে রাস্তা থেকে সরে যাচ্ছে শিক্ষার্থী ও পথচারীরা। আর হাতির ভয়ে বাধ্য হয়ে হাতিকে চাঁদা দিতে হয় বলে অভিযোগ স্থানীয় ব্যবসায়ী ও পথচারীদের। ব্যবসায়ীরা তাদের প্রতিষ্ঠানের পণ্য নষ্ট বা ক্ষতি হওয়ার ভয়ে টাকা গুঁজিয়ে দেন হাতির শুঁড়ে।

সরেজমিনে গিয়ে আজ মঙ্গলবার ভৈরব বাজারের নদীরপাড়ে দেখা যায় হাতির মালিক হাতির পিঠে চুপ করে বসে থাকেন। প্রশিক্ষিত হাতিটি মালিকের ইশারায় এক দোকান থেকে আরেক দোকানে যায়। দোকানিদের কাছ থেকে সর্বনিম্ন ১০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত হাতির শুঁড়ের মাধ্যমে টাকা নিচ্ছে। টাকা না দেওয়া পর্যন্ত হাতি দোকানের সামনে থেকে সরে না।

শুঁড়ের মাথায় টাকা গুঁজে দিলেই মালিকের নিকট ওই টাকা দিয়ে স্থান ত্যাগ করছে। টাকা না পেলে প্রশিক্ষিত এই হাতিটি ক্ষুব্ধ হয়ে উচ্চ স্বরে হুংকার ছাড়ে। অনেকে আবার খুশি হয়ে হাতির শুঁড়ে দশ টাকা বিশ টাকা গুঁজে দিচ্ছে। সড়কে চলাচলকারী বিভিন্ন যানবাহনের পথরোধ করেও টাকা নিতে দেখা গেছে হাতিকে। কিছুদিন পরপরই হাতি নিয়ে রাস্তায় রাস্তায় চাঁদাবাজি করার কারণে যানবাহন ও পথচারীদের চলাচল বন্ধ হয়ে যানজটের সৃষ্টি হয়। এভাবেই অভিনব কৌশলে হাতি দিয়ে চলছে চাঁদাবাজি। এতে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা গেছে। এ ব্যাপারে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেন ব্যবসায়ীরা।

স্থানীয় ব্যবসায়ী সবুজ মিয়া জানান, বিভিন্ন ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান থেকে চাঁদা তুলছে বিশালদেহী হাতি। চাঁদা না দিলে দোকান ছাড়ছে না হাতি। তাই বাধ্য হয়েই টাকা দিতে হয়। কিছু দিন পরপরই হাতি দিয়ে চাঁদা তোলা হচ্ছে। রাস্তায় হাতি নামলেই তীব্র যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।

হাতির মালিক মুহিত জানান, হাতির ভরণপোষণের জন্য খুশি হয়েই অনেকে টাকা দেয়। কাউকে জোর করে টাকা নেয়া হয় না। খুশি হয়ে দিলেই শুধু টাকা নেয়। কেউ দিতে না চাইলে জোর করিনা।

এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সাদিকুর রহমান সবুজ বলেন, হাতি দিয়ে চাঁদা তোলা বন্যপ্রাণী আইনে যেমন নিষেধ, তেমনি প্রচলিত আইনেও নিষেধ। কেউ যদি বন্যপ্রাণী দিয়ে চাঁদাবাজি করে আমার কাছে অভিযোগ আসলে তাৎক্ষণিক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button