গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার গোসিংগা এলাকায় ১০ বছরের শিশুকে মজা খাওয়ানোর লোভ দেখিয়ে দোকানের ভেতর নিয়ে যৌন নিপীড়নের ঘটনায় অভিযুক্ত আলম মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ান (র্যাব)। এর আগে, তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করে শ্রীপুর থানা পুলিশ।
বুধবার (১৯ জুলাই) দুপুরের দিকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এমন তথ্য নিশ্চিত করেছে র্যাব-১ এর পোড়াবাড়ি ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মেজর এ এস এম মাঈদুল ইসলাম।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, শিশুকে যৌন নিপীড়নের ঘটনায় শ্রীপুর থানায় দায়ের করা মামলার পলাতক আসামি আলম
মিয়া গাজীপুর সদর থানার রাজবাড়ী মাঠ সংলগ্ন জয়দেবপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে অবস্থান করছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে, বুধবার গভীর রাতে অত্র ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল সেখানে অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেপ্তার করে। এসময় আসামীর কাছ থেকে একটি মোবাইল ফোন ও নগদ দুই হাজার তিনশত টাকা উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত আলম মিয়া (৪০) উপজেলার গোসিংগা ইউনিয়নের কাইচ্চাবাড়ি গ্রামের মৃত আব্দুল হাকিমের ছেলে।
যৌন হয়রানির শিকার শিশুটি স্থানীয় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেনীতে পড়াশোনা করে। তাঁর বাবা অটোরিকশা চালক ও মা স্থানীয় একটি কারখানায় চাকরি করেন।
উল্লেখ্য, বুধবার (১২ জুলাই) দুপুরের দিকে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার গোসিংগা এলাকার ভুক্তভোগী ওই শিশুটি আলম মিয়ার দোকানে গেলে মজা খাওয়ানোর লোভ দেখিয়ে তাকে দোকানের ভেতর নিয়ে বুকসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে হাত দেয়। এসময় শিশুর ডাক চিৎকারে আলমের বাড়ির লোক চলে আসে। এ ঘটনায় কাউকে কিছু না বলতে শিশুকে হুমকি ধামকী দেয়।
পরে সন্ধ্যায় শিশুটির মা বাড়িতে ফিরে আসলে নাতনি তার বুকে ব্যাথ্যার কথা জানান। কারন জিজ্ঞেস করলে দোকানদার আলম তার বুকে টিপে এবং শরীরে ঝাপটে ধরেছে বলে জানায় শিশুটি।
বিষয়টি স্থানীয় ইউপি মেম্বারকে জানানো হয়। পরে শুক্রবার রাতে চেয়ারম্যান অফিসে শিশুসহ তার মাকে ডেকে নিয়ে সালিশের ব্যবস্থা করা হয়। সেখানে কিছু টাকা নিয়ে কাউকে কিছু না বলার জন্য শিশুটির মাকে শাসানো হয়। পরে থানা পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে সেটি মামলা হিসেবে রুজু করে পুলিশ। এরপর থেকেই বিষয়টি নিয়ে কাজ শুরু করে র্যাব।