ঢাকাসংবাদ সারাদেশ
এক ফ্যান তিন বাতিতে বিদ্যুৎ বিল ১লাখ ৫৪ হাজার
শ্রীপুর(গাজীপুর) প্রতিনিধি: আলফাজ সরকার
গাজীপুরের শ্রীপুর পৌর এলাকার এক মুদী দোকান ঘরে এক মাস শেষে তিনটি লাইট ও একটি ফ্যানে বিদ্যুৎ বিল এসেছে ১ লাখ ৫৪ হাজার ৪৮৫ টাকা।
পৌর এলাকার শ্রীপুর আইডিয়াল স্কুলের সামনে সুরুজ সরকারের মালিকানাধীন সরকার স্টোর নামক দোকানে এই অস্বাভাবিক বিল এসেছে। এতো টাকার বিদ্যুৎ বিল দেখে ওই মুদী দোকানী দিশাহারা হয়ে পড়েন।
শনিবার (২৯ জুলাই) এ ঘটনায় তিনি স্থানীয় কাউন্সিলের কাছেও মৌখিক অভিযোগ দেন। পরে গণমাধ্যমকর্মীরা পল্লীবিদ্যুৎ কার্যালয়ে যোগাযোগ করলে এই সমস্যার সমাধান করে দেওয়া হবে বলে জানান কর্তৃপক্ষ।
জানা গেছে, মরহুম ফারুক মাস্টারের মালিকানাধীন মার্কেটের ওই দোকান ঘরের পূর্বের দোকানি ইকবাল আহমেদ নামের একজনের ইস্যুকৃত একটি মিটার সুরুজ সরকার ব্যবহার করেন। তিনি দোকান ঘরে তিনটি লাইট ও একটি ফ্যান ব্যবহার করেন। যেগুলো বিপরীতে এপ্রিল মাসে ২২৪ টাকা, মে মাসে ৫৫৩ টাকা ও জুন মাসে ৪৮৭ টাকা বিদ্যুৎ বিল আসে। চলতি মাসের বিদ্যুৎ বিলের কাগজে একই ব্যবহারে তাঁর দোকানের বিদ্যুতের বিল আসে ১ লাখ ৫৪ হাজার ৪৮৫ টাকা।
ওই দোকানের বিদ্যুৎ বিলের কাগজে দেখা যায়, বিদ্যুৎ মিটারের বর্তমান রিডিং ১ হাজার ৪১০ এবং পূর্ববর্তী মাসের রিডিং ১ হাজার ৩৯০। চলতি মাসে দোকানির ব্যবহৃত ইউনিটের পরিমাণ ২০ দেখানো হয়েছে। যার মূল্য ২৩৮ টাকা ৬০ পয়সা হবে।
দোকানি সুরুজ সরকার বলেন, “গত মাসের বেশির ভাগ সময়ই আমার দোকান বন্ধ ছিল। এছাড়াও দোকানে মাত্র ৩টি এলইডি লাইট আর একটা খাঁচা ফ্যান চলে। আর রাতে বারান্দায় একটা লাইট জ্বলে। প্রতি মাসে আমার বিদ্যুৎ বিল সর্বোচ্চ ৫০০ টাকা ও তার কাছাকাছি থাকে। কিন্তু চলতি মাসের বিদ্যুৎ বিল ১ লাখ ৫৪ হাজার টাকা এসেছে। আমি প্রথমে ভয় পেয়ে যাই। পরে কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে শান্ত হই”।
এ বিষয়ে ময়মনসিংহ পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি-২ এর শ্রীপুর জোনাল কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক রফিকুল আজাদ মোহনা টেলিভিশন অনলাইনকে বলেন, তিনটি লাইট ও একটি ফ্যানের এক মাসের বিল অবশ্যই এতো টাকা না। আশপাশের বিল এখানে সংযুক্ত হয়েছে কিনা যা মিটারের রিডিং দেখে বুঝা যাবে। উনাকে আমার অফিসে আসতে বলেন”। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সরেজমিনে দেখে পূর্ববর্তী মাসের বিলের সঙ্গে মিল রেখে এ মাসের সঠিক বিলের কাগজ তৈরি করে তাঁর কাছে বিল দিয়ে দিবো”।