খুলনাসংবাদ সারাদেশ

গাংনীতে শিক্ষক কর্মচারী সমিতির কার্যালয়ের জমি দখল নিয়ে বিরোধ

মেহেরপুর প্রতিনিধি : ফারুক আহমেদ

মেহেরপুরের গাংনীতে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় গাংনী পৌর শহরের বাঁশবাড়িয়া গ্রামে উপজেলা শিক্ষক কর্মচারী সমিতির কার্যালয় চত্তরের জমি দখল মুক্ত করতে গেলে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।  সংঘর্ষ চলাকালে মেহেরপুর-কুষ্টিয়া সড়কে সাময়িক বাসচলাচল বন্ধ হয়ে যায়। আহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজনকে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।

জমির মালিকানা দাবি করে হাবিবুর রহমানের ছেলে কুতুবুদ্দিন জানান, গাংনী পৌর এলাকার বাঁশবাড়িয়া-৪৭ মৌজার ২৭২৭ খতিয়ানের ৪৭৮ দাগের ১৫.৭৫ শতক জমি এর মধ্যে ১৯৮২-৮৩ সালের দিকে আমার আমার দুই ফুফু রাহেলা খাতুন ও যায়তুন খাতুন এর কাছ থেকে তার পিতা ১০.৫০ জমির ক্রয় করেন এবং পৈত্রিক সূত্রে ৫.২৫ শতক জমি পায়। এই জমি আমরা নিয়মিত খাজনা-খারিজ দলিল মূলে দিয়ে আসছি কিন্তু ১৯৯৬ তাহলে আমরা জমিতে বিক্রি করার জন্য জনৈক্য ইব্রাহিম মন্ডলের কাছে বায়না করলেও জমি আর বিক্রি করি নাই। বায়না নামা ধরে ইব্রাহিম ভুয়া দলিল তৈরি করে শিক্ষক ও কর্মচারী কল্যাণ সদস্যদের কাছে ১৯৯৭ জমিটি বিক্রি করেন। সেই দলিলের সূত্র ধরেই শিক্ষক ও কর্মচারী কল্যাণ সদস্যরা জমিটা নিজেদের বলে দাবি করছেন।

১৯৯৭ সালে এই জমিটি বিক্রয় কবলা সূত্রে ইব্রাহিম মন্ডলের কাছ থেকে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক ও কর্মচারী কল্যাণ সমিতি ক্রয় করে। ১৯৯৭ সাল থেকে জমিটি আমাদের আয়ত্তে রয়েছে এবং এখান থেকেই আমরা সকল কার্যক্রম পরিচালনা করি। কিন্তু হঠাৎ করেই সম্প্রতি ভূমি দুস্যদের দ্বারা জায়গাটি দখল হয়। জায়গা দখল মুক্ত করতে গেলে শিক্ষকদের উপর হামলা করে বেশ কয়েকজনকে আহত করেন।

গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: আব্দুর রাজ্জাক বলেন সংঘর্ষের সংবাদ পেয়ে তিনি সহ পুলিশ সদস্যরা ঘটনা স্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনা হয়।

তিনি বলেন, জমিজমার বিষয়টি আদালত ফয়সালা করবে। কেউ আইন হাতে তুলে নেবেন না। সংঘর্ষের ঘটনায় অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এদিকে সংঘর্ষের খবর পেয়ে গাংনী উপজেলা চেয়ারম্যান এম এ খালেক ও পৌর মেয়র ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে সকলকে শান্ত থাকার আহবান জানান।

 

author avatar
Editor Online
Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button