নিজের উপর যৌন নির্যাতনের প্রতিশোধ নিতেই কক্সবাজারে আওয়ামীলীগ নেতা সাইফুদ্দীনকে হত্যা করে আশরাফুল। আটক আশরাফুলের দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছেন কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মাহফুজুর রহমান।
আজ বিকেল আড়াইটার দিকে নিজ কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার আরো জানান, প্রথমবার যৌন নিপীড়নের পর দ্বিতীয়বার সানমুন হোটেলে আশরাফুলকে ডেকে নিয়ে যান নিহত সাইফুদ্দীন। এই সুযোগে বাসা থেকে একটি ছোরা নিয়ে হোটেলের ২০৮ নং কক্ষে গিয়ে হত্যাকান্ড সংঘটিত করে আশরাফুল। এর আগে ধারণকৃত যৌন নিপীড়নের ভিডিওসহ সাইফুদ্দীনের মোবাইল সেটটি কেড়ে নেওয়ার পরিকল্পনা ছিল আশরাফুলের। ঐ মোবাইল সেটটি কেড়ে নিতে ধ্বস্তাধ্বস্তির একপর্যায়ে সাইফুদ্দীনকে উপর্যুপরী ছুরিকাঘাত করে সে। মাগরিব নামাজের পর ঘটে এই হত্যাকান্ডের ঘটনা। ঐ সময় শব্দ যাতে কক্ষের বাইরে না যেতে পারে সেজন্য বিছানার বেডসীট সাইফুদ্দীনের মুখে পেছিয়ে দেন খুনী। পরে নিহত সাইফুদ্দীনের ব্যবহৃত মোটরসাইকেল নিয়েই হোটেল ত্যাগ করেন। খুনীর দেওয়া তথ্য মতে মোটরসাইলটি সদরের খুরুশকুল এবং হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ছোরা হোটেলের পাশের নালা থেকে উদ্ধার করে পুলিশ।
এর সোমবার রাত ১২টার দিকে টেকনাফের হোয়াইক্ষ্যং পুলিশের হাতে আটক হয় আশরাফুল। ঐ সময় সে একটি পরিবহণ যোগে টেকনাফে পালিয়ে যাচ্ছিল।
উল্লেখ্য, সোমবার সকালে কক্সবাজার শহরের হলিডে মোড়স্থ আবাসিক হোটেল সানমুনের ২০৮ নং কক্ষ থেকে কক্সবাজার পৌর আওয়ামীলীগের নেতা সাইফুদ্দীনের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় পুলিশ একাধিক ব্যক্তিকে হেফাজতে নেয়। কিন্তু প্রকৃত খুনী ধরা পড়ে রাতে।
ঘাতক আশরাফুল ইসলাম একজন কোরআনে হাফেজ। সে শহরের দক্ষিণ পাহাড়তলীর ইসলামপুরের বাসিন্দা হাশেম প্রকাশ কাশেম মাঝির ছেলে।