আলফাডাঙ্গায় পদ্মা-মধুমতি নদীর ভাঙ্গনে নির্ঘুম রাত কাটছে বাসিন্দাদের
ফরিদপুর প্রতিনিধি: আশীষ পোদ্দার বিমান
বর্ষা মৌসুম শুরু থেকে ভাঙনে দিশে হারা ফরিদপুরের পদ্মা-মধুমতি ও আড়িয়াল খার পড়ে বসবাসরত বাসিন্দারা। প্রতিদিনই নদীর গর্ভে বিলীন হচ্ছে ওই অঞ্চলের মানুষের সম্পদ।
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার তিনটি ইউনিয়ন পাঁচুরিয়া, বানা ও গোপালপুর দেড় কিলো মিটার অংশ জুড়ে মধুমতি নদী তীরবর্তী তীব্র আকারে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। গত কয়েক দিনে পানি বাড়ার সাথে দেখা দিয়েছে ভাঙ্গন। কয়েক বছরে বিলীন হয়ে গেছে দুই কিলোমিটার জায়গা। বিলীন হয়েছে দুই শতাধিক বসতভিটা ও কয়েক শত একর ফসলী জমি। এমন চিত্র ফরিদপুর সদর, চরভদ্রাসন ও সদরপুর উপজেলায় পদ্মা ও আড়িয়াল খা নদীর পাড়।
অনেকেই সব হারিয়ে দিন কাটাচ্ছেন খোলা আকাশের নিচে। অনেকে শেষ সম্বল ঘরবাড়ি, গাছপালা নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে প্রাণপণ চেষ্টা করছেন। ভাঙ্গন ঝুঁকিতে রয়েছে ৫শতাধিক পরিবার। ভাঙ্গন আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে তারা। এছাড়াও সরকারি স্কুল, পাকা সড়ক, মসজিদ, মাদরাসা সহ ফসলি-জমি ও বসতবাড়ি ভাঙনের ঝুকিতে রয়েছে।
এদিকে ভাঙ্গন ঠেকাতে জরুরি ভিত্তিতে বিভিন্ন পয়েন্টে বালুভর্তি জিওব্যাগ ফেলানোর কাজ করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। তবে সেগুলো প্রয়োজনের তুলনায় কম। স্থানীয়দের দাবী স্থায়ী বাধ নির্মানের।
তবে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জানালেন, ভাঙ্গন এলাকায় বরাদ্দ অনুযায়ী আপদকালীন জিওব্যাগ ফেলা হচ্ছে। নদীভাঙ্গন এলাকায় স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ প্রকল্পের অনুমোদন হয়েছে, বিভিন্ন প্রক্রিয়ার কাজ শুরু হয়েছে।
ভাঙ্গন রোধে স্থায়ী বাধ নির্মানের কাজ দ্রুত শুরুর দাবী এলাকাবাসীর।