কলম্বোর আবহাওয়া কেমন—এ প্রশ্নটা এখন সবার মাঝেই বিরাজমান। খেলা ৫০ ওভার হবে কি না, তা নিয়েও আছে শঙ্কা। কেননা, শ্রীলঙ্কায় হওয়া বেশিরভাগ ম্যাচেই বাগড়া দিয়েছে বৃষ্টি। বৈরী আবহাওয়ার জন্য পরিত্যক্ত হয়েছে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচও। ঠিক একই শঙ্কায় ভারত-পাকিস্তানের সুপার ফোরের ম্যাচে রাখা হচ্ছে রিজার্ভ ডে। কিন্তু আজ বিকেল সাড়ে ৩টায় কলম্বোতে হতে যাওয়া বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ম্যাচের জন্য সে ব্যবস্থা নেই। বৃষ্টিতে ভেস্তে গেলেও কিছু করার থাকবে না সাকিব আল হাসান, দাসুন শানাকাদের। বৃষ্টির শঙ্কা মাথায় রেখেই খেলতে হবে তাদের।
কলম্বোর আবহাওয়ার খোঁজ নিতে কয়েকটি ওয়েবসাইট খুঁজে দেখা হয়েছে। দিনের বেশিরভাগ সময়ই আছে বৃষ্টির প্রবল সম্ভাবনা। বাংলাদেশ যখন লাহোর থেকে শ্রীলঙ্কায় ফেরে—তখনো ছিল বৈরী আবহাওয়ার বাগড়া। রাত সাড়ে ৮টা থেকে সাড়ে ৯টা পর্যন্ত এক ঘণ্টার মধ্যে বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে ৯৪ শতাংশ। অর্থাৎ ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের মতো বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ম্যাচেও থাকছে বৃষ্টির সম্ভাবনা। এতে ফাইনাল খেলার স্বপ্ন আরও কঠিন হতে পারে সাকিবদের।
ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে রিজার্ভ ডে থাকলেও নেই বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার জন্য। আয়োজকদের এমন একপেশি সিদ্ধান্ত ভালোভাবে নিচ্ছে না বাংলাদেশ। গতকাল ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশের প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে বলেছেন, ‘আমি নিশ্চিত, প্রতিটি দেশ থেকে প্রতিনিধি নিয়ে তৈরি করা একটি টেকনিক্যাল কমিটি আছে। ছয়টি দেশেরই লোক আছে ওখানে। তারা নিশ্চয়ই কোনো কারণে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। হ্যাঁ, এটি (অন্যদের রিজার্ভ ডে না থাকা) আদর্শ কিছু নয়। আমরাও একটা অতিরিক্ত দিন পেলে খুশি হতাম।’
যেহেতু এমন কোনো সুযোগ নেই। তাই আপাতত শ্রীলঙ্কা ম্যাচ ঘিরেই মনোযোগী বাংলাদেশ। লাহোরে সুপার ফোরের প্রথম ম্যাচে ব্যাটিং ব্যর্থতায় পাকিস্তানের কাছে হেরেছে তারা। এমন পরাজয়ের পর এমনিতেই পিছিয়ে আছে। তার ওপর গ্রুপ পর্বের ম্যাচে শ্রীলঙ্কার কাছে বড় ব্যবধানে হারের স্মৃতি তো আছেই। এবার তাই টুর্নামেন্টের শেষ পর্যন্ত ফাইনালে থাকার আশা বাঁচিয়ে রাখতে হলে জয়ের বিকল্প নেই তাদের। এ ম্যাচেও বাংলাদেশের পরিকল্পনায় থাকবে নিজেদের ব্যাটিং। পরপর তিন ম্যাচেই ব্যাটারদের পারফরম্যান্সের ওঠানামাই এখন দলের সবচেয়ে বড় অস্বস্তি।
লাহোর থেকে ফেরার দিনটা পুরোপুরি বিশ্রামে কেটেছে মেহেদী হাসান মিরাজ-তাসকিন আহমেদদের। গতকাল দুপুরে পুরো দল একসঙ্গে মসজিদে গিয়ে পড়েছে জুমার নামাজ। সন্ধ্যার দিকে অনুশীলন করেছেন তারা। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এখনো ভালোই চ্যালেঞ্জ দেখছে বাংলাদেশ। গতকাল কোচ বলেছেন, ‘আমরা দেশের বাইরে খেলছি, দুই দেশেই আলাদা কন্ডিশন। আমাদের জন্য ভালো চ্যালেঞ্জ, এটিকে কাটিয়ে উঠতে হবে আমাদের।’ টুর্নামেন্ট এলেই ভিন্নরকম এক চ্যালেঞ্জ দেয় শ্রীলঙ্কা। জিম্বাবুয়েতে বিশ্বকাপ কোয়ালিফায়ারে অপরাজিত থেকে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল তারা। এশিয়া কাপেও গ্রুপ পর্বে অপরাজিত তারা। তাই বাংলাদেশের তুলনায় টুর্নামেন্টের অধিকতর সফল দল লঙ্কানরা—পরিসংখ্যানই বলছে সে কথা। গত ছয় আসরে তিনবার ফাইনাল খেললেও বাংলাদেশের তাই অভিজ্ঞতায় লঙ্কানদের চেয়ে পিছিয়ে থাকাই স্বাভাবিক। সেসব মাথায় রেখেই লঙ্কানদের বিপক্ষে ঘুরে দাঁড়াতে পরিকল্পনা সাজাবেন সাকিবরা।