ইলিশের ভর মৌসুম চলছে। দেশের দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলো থেকে প্রতিদিনই ১শ’ থেকে ১৫০ মণ ইলিশ আসছে দেশের অন্যতম চাঁদপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে। যে কারণে ইলিশের এই ঘাটে ক্রেতা-বিক্রেতাদেরও ভীড় বেড়েছে। তবে দাম কমছে না। স্থানীয় নদীর ইলিশ কম। বর্তমানে ঢাকার চাইতেও এই ঘাটে ইলিশের দাম বেশি জানালেন ক্রেতারা।
চাঁদপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে প্রায় ৫০টিরও অধিক মৎস্য আড়ত রয়েছে। এসব আড়ৎগুলোতে এখন প্রতিদিন নোয়াখালি হাতিয়া, রামগতি ও আলেকজেন্ডার থেকে ইলিশ আসছে। গত এক সপ্তাহে গড়ে প্রতিদিন ১০০ থেকে ১৫০মণ ইলিশ আমদানি হচ্ছে। তবে এ বছর বড় সাইজের ইলিশের সংখ্যাই বেশী। ১ কেজি থেকে শুরু করে ২ কেজি এবং তার চাইতে বেশী ওজনের ইলিশও আমদানি হচ্ছে।
সকাল ১০টা থেকে শুরু করে রাত পর্যন্ত আড়ৎগুলো চলে ইলিশের বেচাকেনা। পাইকারি ইলিশগুলো হাক ডাক দিয়ে বিক্রি হয়। ইলিশের মৌসুম হওয়ার কারণে খুচরা বিক্রেতার সংখ্যাও কম নয়। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে মানুষ ইলিশ ক্রয় করার জন্য এই ঘাটে আসছেন। তবে গত বছরের তুলনায় এ বছর কিছুটা বেশী। ১ কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১৩৫০ থেকে ১৪০০টাকা। ৬০০গ্রাম থেকে ৯০০গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ১হাজার টাকা প্রতিকেজি।
চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনায় ইলিশ কম। দাদন দিয়েও মাছ পাওয়া যাচ্ছে না। চাঁদপুর ব্র্যান্ডিং হওয়ার কারণে এবং ভাল দাম পাওয়ায় দক্ষিনাঞ্চলের ইলিশ এই ঘাটে আসছে। তবে এই ঘাটে আসা ইলিশ ঢাকার চাইতেও দাম বেশি। ইলিশের চাহিদা বেশী থাকায় দাম কমার কোন সুযোগ নেই। স্থানীয় ইলিশ কম যে কারণেও দাম বেশী। মানুষ কোয়ালিটি মাছ চায়, যে কারণেও দাম বেশী। নানা কারণে গত কয়েক বছর চাঁদপুরের নদীতে ইলিশ কম।
চাঁদপুর মৎস্য বণিক সমবায় সমিতি লিমিটেডের সাধারণ সম্পাদক হাজী শবে বরাত সরকার বলেন, এখন ইলিমের মৌসুম। তবে এ বছর তুলনামূলক বৃষ্টি কম হওয়ার কারণে চাঁদপুরের নদীতে ইলিশ কম। তবে আশা করছি বৃষ্টি বাড়লে অক্টোবর পর্যন্ত জেলেরা ইলিশ পাবে। এছাড়াও বছর জুড়ে জেলেরা কম-বেশী ইলিশ পায়।