ঢাকাসংবাদ সারাদেশ
স্টিয়ারিংয়ে ৩ চালক থাকা বাসটি বৈদ্যুতিক খুঁটিতে ধাক্কা, এক চালক নিহত
আলফাজ সরকার আকাশ
গাজীপুরের শ্রীপুরে শ্রমিক পরিবহনকারী বাসের একটিতে ৩ চালক স্টিয়ারিংয়ে বসা অবস্থায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের বৈদ্যুতিক খুঁটির সাথে ধাক্কায় মফিজুল ইসলাম নামের এক চালকের মৃত্যু হয়েছে। এসময় গুরুতর আহত হয়েছেন মারুফ ও সজিব নামের আরও ২ চালক। তবে, শ্রমিক বাসে না থাকায় বড় ধরনের হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) ভোর পৌনে ৬টার দিকে উপজেলার বরমী ইউনিয়নের মাওনা-বরমী আঞ্চলিক সড়কের সোহাদিয়া (নলজুরা ব্রিজ) এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত মফিজুল ইসলাম (৩০) উপজেলার বরমী ইউনিয়ন সোহাদিয়া গ্রামের মৃত আব্দুল হোসেন আলীর ছেলে। তিনি স্থানীয় স্মার্ট কারখানার শ্রমিক আনা নেওয়া করতেন। তবে, তাৎক্ষনিক ভাবে আহত মারুফ ও সজিবের পূর্ণাঙ্গ ঠিকানা এখনো পাওয়া যায়নি।
পুলিশ ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আজ মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) ভোরে মারুফ নামের এক বাস চালক শ্রীপুরের সোহাদিয়ায় রাখা বাসটি নিয়ে পার্শ্ববর্তী ত্রিমোহনী থেকে শ্রমিকদের উঠিয়ে কারখানায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য যাচ্ছিলেন। মারুফের বাসটি ড্রাইভার বন্ধু মফিজুল ইসলাম চালাচ্ছিলেন। ত্রিমোহনী এলাকায় রাখা ছিল মফিজুল ইসলাম ও সজিবের শ্রমিকবাহী বাস দুটো। বন্ধুর বাস চালানোর সময় মারুফ ও সজিব স্টিয়ারিংয়ের পাশে বসা ছিলেন। উপজেলার বরমী ইউনিয়নের মাওনা-বরমী আঞ্চলিক সড়কের সোহাদিয়া (নলজুরা ব্রিজ) এলাকায় পৌঁছাতে তাঁদের বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাশের বৈদ্যুতিক খুঁটিতে ধাক্কা খেয়ে রাস্তার নিচে চলে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই চালক মফিজুল ইসলাম মারা যান। স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় মারুফ ও সজিবকে উদ্ধার করে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠায়। যদিও সেসময় বিদ্যুতের লোডশেডিং থাকায় বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
পথচারীদের ভাষ্য, “চলন্ত বাসে থাকা ব্যক্তিদের মধ্যে নিজেদের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে উচ্চ বাক্যে কথা হচ্ছিল। এ কারণে বাসের চালক বেপরোয়া গতিতে গাড়িটি চালাচ্ছিলেন। এরপর ওই এলাকায় পৌঁছালে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বৈদ্যুতিক খুঁটি ও গাছের সঙ্গে ধাক্কা খায়”।
শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা: আসমা খাতুন বলেন, ” আহত ব্যক্তিদের প্রাথমিকভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য গাজীপুরের শহিদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে”।
ময়মনসিংহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার নুর মোহাম্মদ জানান, খবর পেয়ে পল্লী বিদ্যুৎ বরমী শাখার লোকজন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। সেখানে পুলের ক্ষতি হয়েছে। তবে, বাস দুর্ঘটনার সময় লাইনে বিদ্যুৎ ছিল না।
শ্রীপুর থানার উপপরিদর্শক এসআই আমিনুল ইসলাম মোহনা টেলিভিশন অনলাইনকে বলেন,” খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। আহতদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। নিহতের স্বজনদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ও উর্ধতন কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্তে পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ চলমান।