চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর বিএসএফের গুলিতে মিজানুর রহমান(৪৯) নামে এক বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন বলে বিভিন্ন সুত্রে জানা গেছে। শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাতে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কৃষ্ণগঞ্জ থানার নোনাগঞ্জ সীমান্তে ওই ঘটনা ঘটে।
মিজানুর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের বেনীপুর গ্রামের আয়ুব আলীর জামাতা। বিয়ের পর তিনি শ্বশুর বাড়িতে থাকতেন। তার মরদেহ ভারতের কৃষ্ণনগর মহকুমা হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে ।
সীমান্ত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইশাবুল ইসলাম মিল্টন জানান, মিজানুর রহমান কিছুদিন ধরে ভারতীয় গরুর ব্যবসা করত। সাম্প্রতিক সময়ে সে অবৈধভাবে মানুষ পারাপারের কাজ করে আসছিল। গত বৃহস্পতিবার মিজানুর ও তার সহযোগীরা কয়েকজন মানুষ নিয়ে অবৈধভাবে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কৃষ্ণগঞ্জ থানার নোনাগঞ্জ সীমান্তে যান। ফেরার সময় বিএসএফ সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যায় মিজানুর। পালিয়ে যান তার সহযোগীরা।
নিহতের বড় স্ত্রী ইসনাহার জানান, আমার স্বামীসহ তিনজন বাইরে যাওয়ার নাম করে বুধবার বাড়ি থেকে বের হয়।বৃহস্পতিবার ভোর রাতে তার সাথে ফোনে কথা হলে, তিনি বলেন আমি বাইরে আছি। শুক্রবার আসব। তার সাথে যে দুইজন গিয়েছিল তারা ফেরত এসেছে। এখন শুনছি বিএসএফ তাকে গুলি করেছে।
জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস.এম. জাবীদ হাসান জানান, মিজানুর রহমানের স্ত্রী থানায় এসে মৌখিকভাবে জানিয়েছেন তার স্বামীকে পাওয়া যাচ্ছে না।
ঘটনার সত্যতা জানাতে বিজিবির মহেশপুর-৫৮ ব্যাটালিয়নের পরিচালক লেফটেনেন্ট কর্নেল মাসুদ পারভেজ সাংবাদিকদের জানান, শনিবার বেলা ১১ টার সময় এক মহিলা মৌখিকভাবে তার স্বামী নিখোঁজের বিষয়টি আমাদের কাছে জানিয়েছেন। আমরা ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের কাছে চিঠি দিয়েছি তারা কোনো বাংলাদেশীকে হত্যা করেছে কি না? বিএসএফের কাছ থেকে জানার পর আমরা বিষয়টি নিশ্চিত হতে পারবো।