সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় আলোচিত বৃদ্ধা মোমেনা বেওয়া হত্যা মামলার ৭ বছর পর রহস্য উদঘাটন হয়েছে। আলোচিত হত্যাকান্ডে জড়িত তার পুত্রবধুকে আটক করেছে পিবিআই। আটক রিনা খাতুন (৫৫) উল্লাপাড়ার দহকুলা দক্ষিনপাড়ার মৃত আব্দুল মান্নানের স্ত্রী।
পিবিআইয়ের সিরাজগঞ্জের পুলিশ সুপার রেজাউল করিম সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে শহরের নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, গত ২০১৬ সালের ২৭ মে সন্ধ্যা দহকুলার মৃত আব্দুল গনির স্ত্রী বৃদ্ধা মোমেনা বেওয়া (৭০), পড়নের শাড়ি দিয়ে ফাঁসি নিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে তার ছেলের বউ এবং নাতিরা প্রকাশ করেন।
স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে উল্লাপাড়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। এরপর ভিকটিমের মেয়ের জামাই মাহবুবুল আলম বুলু বাদী হয়ে উল্লাপাড়া থানায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যু মামলা দায়ের করেন।
পরবর্তীতে ভিকটিমের ময়না তদন্ত রিপোর্ট প্রাপ্ত হয়ে পর্যালোচনায় জানা যায় যে, ভিকটিম মোমেনা বেওয়াকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। ময়না তদন্ত রিপোর্ট প্রাপ্তির পরে ভিকটিম মোমেনা বেওয়া এর নাতী (মেয়ের ছেলে) আমিরুল ইসলাম বাবু এজাহার নামীয় ৩ (তিন) জনসহ অজ্ঞাতনামা ২/৩ জন আসামী উল্লেখ করে উল্লাপাড়া থানায় এজাহার দায়ের করেন।
ভিকটিম মোমেনা বেওয়া তার নামীয় জমি বিক্রি করে তার মেয়ে অসুস্থ্য ছালমা খাতুনকে সহায়তা করে। এ কারণে ভিকটিম মৃত মোমেনা বেওয়ার সাথে আসামীদের মনোমালিন্য হয়।
এক পর্যায়ে আসামীরা পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে ভিকটিমকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে এবং ধামাচাপা দিতে আত্মহত্যা বলে প্রচারণা চালায়।
এরপর তদন্তভার সিরাজগঞ্জ পিবিআই পেয়ে গত ১৫ সেপ্টেম্বর ঢাকার শাহজাহানপুরের রেলওয়ে কলোনি হতে পলাতক পুত্রবধূ নাজমা খাতুনকে আটক করে। তিনি ১৬৪ ধারার জবানবন্দি দেন এবং দোষ স্বীকার করে স্বেচ্ছায় বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন।