নিহত ওসি জাহিদ ইকবাল বাংলাদেশ পুলিশের ২৭তম ব্যাচের ক্যাডেট (এসআই)। তিনি এসএসসি ৯৬ ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন। তার মৃত্যুতে সারাদেশের বন্ধুদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
নিহত জাহিদ ইকবালের স্ত্রীও একজন পুলিশ পরিদর্শক। তিনি চট্টগ্রাম মেট্রোতে কর্মরত পুলিশ পরিদর্শক মর্জিনা আক্তারের ব্যাচমেট। দুর্ঘটনার কথা শুনে স্পটে ছুটে যান মর্জিনা আক্তার। তিনি বলেন, নিহত জাহিদ ইকবাল তার দুই বোন ও বোনের দুই ছেলে এবং নিজের ছেলে তাহসিনকে নিয়ে কুষ্টিয়া থেকে বান্দরবান যাচ্ছিলেন। দুই সন্তানের জনক জাহিদের স্ত্রী রেশমাও পুলিশ পরিদর্শক হিসেবে কর্মরত আছেন। স্ত্রী রেশমা ও তার মেয়ে এই ট্যুরে ছিলেন না। আহত ছেলে তাহসিন শঙ্কামুক্ত আছে।
ওসি জাহিদের দুই বোনের অবস্থাও আশংকাজনক। তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
কুমিরা হাইওয়ে থানার ইনচার্জ মো. শাহাদাত হোসেন জানান, হাইস গাড়িতে ৮ জন যাত্রী নিয়ে ঢাকা থেকে বান্দরবনের উদ্দেশে যাচ্ছিল। নিজামপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে কালভার্টের সাথে ধাক্কা লাগে। এতে গাড়িতে থাকা এক পুলিশ সদস্য নিহত হন। গাড়িতে থাকা আরও ৭ যাত্রী গুরুতর আহত হয়। নিহত পুলিশ সদস্যের লাশ আইনিপ্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। দূর্ঘটনাকবলিত গাড়ি দুটি পুলিশের হেফাজতে রয়েছে।