ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর একটি অন্যতম ধর্মীয় উৎসব হচ্ছে কারাম। ভাদ্র মাসের শুক্লা একাদশী তিথিতে এই উৎসব পালিত হয়। সাঁওতাল, ওঁরাও, মাহাতো, বড়াইক, কুর্মি, সিং, পাহান, মাহালিসহ বিভিন্ন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী তাদের নিজ নিজ রীতিতে কারাম উৎসব পালন করে থাকে। কারাম নামের গাছের ডাল কেটে বিভিন্ন প্রাচীন প্রথা মান্য করে এই উৎসব করা হয় বলে এর নাম কারাম উৎসব।
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন. আগে ছোট আকারে কারাম উৎসব আয়োজন হলেও এখন ব্যাপক পরিসরে হচ্ছে। কারাম উৎসব সমতলে বসবাস করা নৃ-গোষ্ঠীর প্রাণের উচ্ছ্বাস। এ উৎসব বরেন্দ্র অঞ্চলকে মিলন মেলায় পরিণত করে।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার দেশের সব নাগরিকের সুষম উন্নয়নে বিশ্বাসী। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর প্রতি সরকারের সুদৃষ্টি রয়েছে। তাদের উন্নয়নে নানা কর্মসূচি নেয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে। আদিবাসীদের জন্য সরকার বিশেষ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।
বর্ণাঢ্য আয়োজনে ঢাক-মাদলের তালে নাচ-গান আর পূজা অর্চণার মধ্য দিয়ে সাঁওতাল, ওঁরাও, মুন্ডা, পাহান, মালো, মাতোসহ ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর বিভিন্ন জাতিসত্ত্বার প্রধান ধর্মীয় ও সামাজিক এই উৎসব উদযাপন করা হয়।
উৎসবে বিভিন্ন উপজেলার ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ১৮টি সাংস্কৃতিক দল তাদের নিজস্ব গানের সঙ্গে নৃত্য পরিবেশন করে। পরে মন্ত্রী নৃত্যানুষ্ঠানে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, জাতীয় আদিবাসী পরিষদের পোরশা উপজেলা সভাপতি ধীরেন লাকড়া।
বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি আব্দুল খালেক, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো: আনারুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মো: মোফাজ্জল হোসেন মোল্লা. পোরশার সহকারি কমিশনার মো. মনিরুজ্জামান, জাতীয় আদিবাসী পরিষদের সাপাহার উপজেলার সভাপতি ভুট্টু পাহান, থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: জহিরুল ইসলাম এবং ছাওড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান।