গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের মুলাইদ এলাকা থেকে ইশতিয়াক আহমেদ নামে এক কারখানার কর্মকর্তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে শ্রীপুর থানা পুলিশ।
মঙ্গলবার (০৩ অক্টোবর) ভোরের দিকে উপজেলার মুলাইদ গ্রামের রফিজ উদ্দিনের বাড়ি থেকে ওই লাশ উদ্ধার করা হয়েছে বলে মোহনা টেলিভিশন অনলাইনকে জানিয়েছেন শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এফ এম নাসিম।
নিহত ইশতিয়াক আহমেদ (২৭) চুয়াডাঙ্গা জেলার সদর থানার বোয়ালমারী গ্রামের মৃত রেজাউল করিমের ছেলে। তিনি সস্ত্রীক মুলাইদ এলাকার রফিজ উদ্দিনের বাড়িতে ভাড়ায় থেকে স্থানীয় একটি কারখানার অফিসার পদে চাকরি করতেন।
নিহতের স্বজনদের বরাত দিয়ে শ্রীপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সুজন কুমার জানান, গত ২ বছর আগে মেহেরুন ফেরদৌস নামের একজনকে বিয়ে করে শ্রীপুরের মুলাইদের ওই বহুতল ভবনের ৪র্থ তলায় ভাড়ায় থাকতেন ইশতিয়াক আহমেদ। তিনি স্থানীয় সাদ গ্রুপের নাইস ডেনিম নামক কারখানার প্রোডাকশন অফিসার হিসেবে চাকরি করতেন। গত কিছুদিন ধরে পারিবারিক অথবা কারখানার কোনো বিষয় নিয়ে মানসিক চাপা ক্ষোভে ভুগছিলেন ইশতিয়াক আহমেদ।
তিনি আরও বলেন, এ নিয়ে গতরাতেও তাকে খুবই গম্ভীর দেখাচ্ছিল বলে স্ত্রীর দাবী। সেই রাত সাড়ে বারোটার দিকে স্ত্রী প্রকৃতির ডাকে বাথরুমে গেলে বাইরে থেকে দরজা আটকিয়ে দেন ইশতিয়াক। পরে বিছানার চাদর গলায় লাগিয়ে সিলিং ফ্যানের সাথে পেচিয়ে ঝুলে আত্মহত্যা করেন তিনি। এসময় বাথরুমের দরজা খুলতে না পেরে নিহতের স্ত্রী ভেন্টিলেটর দিয়ে ডাক চিৎকার দিলে পাশের ফ্ল্যাটের লোকজন এগিয়ে আসে। পরে দরজা ভেঙে ফ্যানে ঝুলন্ত অবস্থায় ইশতিয়াকের মরদেহ নিচে নামানো হয়। একই সাথে বাথরুমের দরজার লক খুলে স্ত্রীকেও বাইরে বের করে পুলিশে খবর দেন স্থানীয়রা। পরে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে থানা হেফাজতে আনে। প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে, মানসিক চাপা ক্ষোভে তিনি আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এফ এম নাসিম মোহনা টেলিভিশন অনলাইনকে বলেন,” খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুরের শহিদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট হাতে পেলে পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”