অর্থনীতি

টেকসই প্রবৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশের আর্থিক খাতে শক্তিশালী সংস্কার প্রয়োজন: বিশ্বব্যাংক

মোহনা অনলাইন

বিশ্বব্যাংক বলেছে, কোভিড-১৯ মহামারি থেকে বাংলাদেশের শক্তিশালী পুনরুদ্ধার হলেও ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতি, আর্থিক খাতের দুর্বলতা এবং বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার কারণে মহামারি পরবর্তী পুনরুদ্ধার ব্যাহত হয়েছে।

সংস্থাটি বলছে, উচ্চ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ বাংলাদেশের অর্থনীতির অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ। আগামী দিনেও উচ্চ মূল্যস্ফীতির ধারা অব্যাহত থাকতে পারে।

সংস্থাটি বলছে, মূল্যস্ফীতি পরিস্থিতি নির্ভর করবে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যের মূল্য কেমন থাকে, তার ওপর। তবে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ এবং আর্থিক খাতের দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতে বিশ্বব্যাংক মুদ্রানীতি ও রাজস্ব নীতির সমন্বয়ে জোরালো আর্থিক সংস্কারের পরামর্শ দিয়েছে।

গত মঙ্গলবার (০৩ অক্টোবর) প্রকাশিত বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট আপডেট প্রতিবেদনে এ পরামর্শ তুলে ধরেছে সংস্থাটি। প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে বক্তব্য দেন বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদুল্লায়ে সেক।

চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি আগের বছরের তুলনায় কমে যেতে পারে বলে মনে করছে বিশ্বব্যাংক। সংস্থাটি পূর্বাভাস দিয়ে বলেছে, এ বছর জিডিপি প্রবৃদ্ধি হার হবে ৫ দশমিক ৬ শতাংশ। গত অর্থবছর ৬ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছিল।

আবদুল্লায়ে সেক বলেন, জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি এবং টাকার অবমূল্যায়নের কারণে মূল্যস্ফীতির চাপ বাড়ছে। মানুষের ভোগও চাপের মুখে পড়েছে। এ ছাড়া মজুরি বৃদ্ধির তুলনায় খাবারের দাম বেড়েছে। মূল্যস্ফীতির চাপ কমাতে মুদ্রানীতির কার্যকর ব্যবহারের ওপর জোর দেন তিনি।

বিশ্বব্যাংকের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, মূল্যস্ফীতির চাপ কমাতে সুদের হারের সীমা পর্যায়ক্রমে তুলে দিতে হবে। এ ছাড়া ব্যাংক খাতের কার্যকর তদারকির মাধ্যমে আর্থিক খাতের ঝুঁকি কমানোর উদ্যোগ নেওয়া উচিত।

পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে বিশ্বব্যাংক অর্থনীতিতে সংস্কারের পরামর্শ দিয়েছে। বিশেষ করে বিনিময় হারকে ধরাবাঁধার বাইরে রাখা, মুদ্রানীতি আধুনিক করা এবং রাজস্ব খাতের সংস্কারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button