স্বজনদের দাবী, পূর্ববিরোধের জেরে পেট্রোল দিয়ে আগুন ধরিয়ে দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেছে তারা। পুলিশ বলছে, ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানায়, শহরের মধ্যম বিরিঞ্চি ফকির বাড়ি রনি হোসেনের বাসায় মঙ্গলবার দিবাগত রাত ২ টার দিকে আগুন লাগে। তাদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন আগুন নিভানোর চেষ্টা করে। তাদের চেষ্টায় আগুন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলে রনি হোসেনের বড় ছেলে মাইদুল ইসলাম শাহাদাতের দগ্ধ মৃতদেহ খাটের উপর থেকে উদ্ধার করা হয়। আর ছোট ছেলে রাহাদুল ইসলাম গোলাপকে খাটের নিচ থেকে দগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়ার পথে সেও মারা যায়।
পূর্ব বিরোধের জেরে পেট্রোল ঢেলে পাশের বাসার প্রতিপক্ষরা আগুন লাগিয়েছে বলে দাবী ভুক্তভোগী পরিবারের। নিহত দুই শিশুর পিতা রনি জানান, কিছুদিন আগে তাদের পারিবারিক কবরস্থানে অনুমতি ছাড়া প্রতিবেশী জনি আর আনোয়ার তাদের এক স্বজনের মৃতদেহ দাফন করতে গেলে তাদের সাথে আমাদের কথা কাটাকাটি হয়। এরপর থেকেই আমাদের দেখে নেয়ার দফায় দফায় হুমকি দেয়। এরই ধারাবাহিকতায় তারা এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটিয়েছে।
আগুন নিভাতে আসা স্থানীয়রা জানান, আগুন নেভাতে গিয়ে ঘরটির প্রধান দরজার বাইরে থেকে রশি দিয়ে বেঁধে দেয়া ছিলো। এতে ধারনা করা হয়, হত্যার উদ্দেশ্যে দুর্বৃত্তরা আগুন দেয়ার পূর্বে যাতে ঘর থেকে কেও বের হতে না পারে সেজন্য এমনটি করেছে।
নিহত শাহাদাত সপ্তম আর গোলাপ দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্র ছিলো। তাদের মৃতদেহগুলো ময়না তদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম চৌধুরী জানান, বিষয়টি গুরুত্বসহকারে তদন্তের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় আইনী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।