শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে শাহ আলম (৩৫) নামে এক অটো চালকের লাশ উদ্ধার করছে পুলিশ। রোববার (৮ অক্টোবর) সকালে উপজেলার ধানশাইল ইউনিয়নের কোচনীপাড়া হতে কুরুয়া বাজার পাকা-রাস্তার পশ্চিম পাশে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শামসুল হকের ধান ক্ষেত থেকে আলমের লাশটি উদ্ধার করা হয়।
শাহ আলম পার্শ্ববর্তী শ্রীবরদী উপজেলার গোশাইপুর ইউনিয়নের ধাতুয়া আঁড়াইলেকান্দা গ্রামের জসিম উদ্দিন ওরফে ফকির আলীর ছেলে।
পুলিশ ও নিহতের পারিবারিক সুত্রে জানা গেছে, শনিবার রাতে শাহ আলম বেটারিচালিত অটোরিকশা নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়। কিন্তু রাতে আর বাড়ি ফিরে আসেনি। পরিবারের লোকজন ও আত্নীয়স্বজনরা খোঁজাখুঁজি করেও তাকে পায়নি। পরদিন রোববার সকালে ঝিনাইগাতী উপজেলার কোচনীপাড়া এলাকার সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শামসুল হকের ধান ক্ষেতে শাহ আলমের মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে গ্রামবাসীরা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশটি উদ্ধার করে। পরে শাহ আলমের লাশ শনাক্ত করেন পরিবারের লোকজন।
এ ঘটনায় শেরপুরের পুলিশ সুপার মোনালিসা বেগম পিপিএম ও সহকারি পুলিশ সুপার (নালিতাবাড়ী) সার্কেল দিদারুল ইসলাম ও গোয়েন্দা বিভাগের লোকজন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পুলিশ লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়না তদন্তের জন্য শেরপুর জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করে।
পুলিশ জানায়, শাহ আলম কে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করা হয়েছে। তার গলায় একটি রশি পাওয়া যায়।
গোসাইপুর ইউপি চেয়ারম্যান শাহ জামাল আশিক বলেন, শনিবার সন্ধ্যার পর ভারেরা বাজারের অনেকে শাহ আলমকে দেখেছে। দুর্বৃত্তরা তাকে হত্যা করে অটোরিকশা নিয়ে পালিয়েছে।
ঝিনাইগাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুল আলম ভূইয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ব্যাপারে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। জড়িতদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় নিহত শাহ আলমের স্ত্রী, সন্তান ও মা-বাবাসহ আত্মীয় স্বজনদের মাঝে নেমেছে শোকের ছায়া।