রোববার (৮ অক্টোবর) দুপুরের দিকে উপজেলার মাওনা ইউনিয়নের মাওনা গ্রামের নাইস ফেব্রিক্স প্রসেসিং লিমিটেড কারখানা থেকে ওই লাশটি উদ্ধার করা হয় বলে মোহনা টেলিভিশন অনলাইনকে নিশ্চিত করেছেন শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এফ এম নাসিম।
নিহত রনি শেখ (৩০) গাইবান্ধা জেলার সাদুল্যাপুর উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামের মো. জয়নাল আবেদীনের ছেলে। তিনি ওই কারখানার সহকারী প্রকৌশলী হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল নিহতের একটি ছবিতে দেখা যায়, কারখানার ভেতরে জানালার রেলিংয়ে গলায় গামছা বাঁধা অবস্থায় ওই কর্মকর্তার লাশটি ঝুলেছিল। এ সময় তাঁর পা মেঝেতে লেগে ছিল এবং হাতের কাছেই ছিল গ্রিল। পাশে একজোড়া জুতা পড়েছিল।
কারখানা কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে শ্রীপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ইসমাইল হোসেন জানান, কারখানার পাশেই একটি ভবনে কর্মকর্তাদের বসবাসের কোয়ার্টার রয়েছে। সেখানের একটি কক্ষে রনিসহ ৬-৭ জন কর্মকর্তা থাকতেন। রোববার সকালে ঘুম থেকে উঠে ৮টার দিকে সকলেই যে যার মতো করে কর্মস্থলে চলে যান। কিছুক্ষণ পর একজন ঘরের বারান্দার দরজা ভেজানো দেখে দরজা খুলে ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান একজন। পরে কারখানার ম্যানেজারকে জানালে তিনি পুলিশে খবর দেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে কারখানার ওই কর্মকর্তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
নাইস ফেব্রিক্স প্রসেসিং লিমিটেড কারখানার ব্যবস্থাপক রবিউল ইসলাম বলেন, “রনি যে ঘরে থাকতেন সে ঘরের বারান্দার দরজা ভেজা দেখে দরজা খুলে ঝুলন্ত লাশ দেখতে পায় তার সহকর্মী। পরে বিষয়টি আমাকে জানালে আমি পুলিশে খবর দেই।” কেনো এমন ঘটনা সে বিষয়ে কিছু বলতে পারেননি তিনি।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এফ এম নাসিম মোহনা টেলিভিশন অনলাইনকে বলেন, “আমরা লাশ উদ্ধার করে মৃত্যুর কারন খতিয়ে দেখার চেষ্টা করছি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এটি আত্মহত্যা।” তবে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর প্রকৃত রহস্য উদঘাটন করা যাবে। নিহতের স্বজনদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।