কক্সবাজারের পেকুয়ায় ঘরে ঢুকে চালানো হামলায় গুরুতর আহত যুবক আবু ছৈয়দ (৩৮) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাতটার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
একইদিন দুপুরে উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের আফজলিয়া পাড়া এলাকায় তিনি প্রতিপক্ষের লোকজনের হামলার শিকার হন। নিহত আবু ছৈয়দ মগনামা ইউনিয়নের আফজলিয়া পাড়া এলাকার মৃত বদিউল আলমের ছেলে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী নাজু বলেন, সংঘবদ্ধ হামলাকারীরা অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে নিহত আবু ছৈয়দের শ্বশুর বাড়িতে ঢুকে তাঁর ওপর হামলা চালায়। গুলি ছুঁড়ে আতংক তৈরি করা হলে আমরা আত্মরক্ষার্থে পালিয়ে যাই। নিহত আবু ছৈয়দ ২০২১ সালের মে মাসে মগনামা ইউনিয়নের ফুলতলা স্টেশনে সংগঠিত জয়নাল হত্যা মামলার তিন নাম্বার আসামি ছিলেন। আট মাস কারাভোগ করে গত তিন মাস আগে সে জামিনে আসে। এলাকায় এসে একটি চিংড়ি ঘেরের পাহারাদার হিসেবে চাকুরী নিয়ে সে স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছিলো।
নিহতের শালা মাহমুদুল করিম বলেন, দুপুর তিনটার দিকে আমাদের ঘরে দুপুরের খাবার খাচ্ছিলেন। এসময় অতর্কিতভাবে ২০-৩০ লোক দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে পরিকল্পিতভাবে হামলা শুরু করে। গুলি ছুঁড়তে ছুঁড়তে হামলাকারীরা ঘরে ঢুকে আবু ছৈয়দকে গুলিবিদ্ধ ও এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। এতে তার ডান পা শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তার দুই বাহুতে, বুকে, পায়ে ও পিঠে ধারালো অস্ত্রের ও আগ্নেয়াস্ত্রের আঘাত রয়েছে। তাকে রক্ষা করতে গেলে আমার বোন বুলু আক্তার, ভাই খোকন ও প্রতিবেশী এনামকে আক্রমণ করে হামলাকারীরা।
স্থানীয়রা জানান, পূর্ব শত্রুতার জেরে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আবু ছৈয়দের মৃত্যু নিশ্চিত করেই হামলাকারীরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। পরে এলাকাবাসীরা এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে।
পেকুয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সুদীপ্ত শেখর ভট্টাচার্য্য বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের ধরতে পুলিশের অভিযান চলছে।