অটোরিকশা ও মোটরসাইকেলের সংঘর্ষের পর টেলিভিশনের গ্লাসে গলা কেটে প্রাণ গেল যুবকের!
আলফাজ সরকার আকাশ
শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) রাতে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় মোমিন। এর আগে একইদিন দুপুরের দিকে নয়াপাড়া গ্রামের কাশেমপুর বাজারের আমতলা এলাকায় এই দুর্ঘটনার শিকার হন তিনি। এসময় তার সাথে আরও ২জন আহত হলে তাদেরকেও শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। নিহত মৃদুল হাসান মোমিন (২৬) কাওরাইদ ইউনিয়নের নয়াপাড়া গ্রামের বোরহান মিয়ার ছেলে।
নিহতের ভাই আতিক হাসানের বরাত দিয়ে কাওরাইদ ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আজিজ বলেন, শুক্রবার দুপুর ২টার দিকে নিজ মোটরসাইকেল যোগে বাড়ির পাশে কাশেমপুর বাজারে যান মোমিন। বাজারের আমতলা এলাকায় পৌঁছতেই বিপরীত দিক থেকে আসা দ্রুত গতির একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার সঙ্গে তার মোটরসাইকেলের সংঘর্ষ হয়। এতে মোটরসাইকেল থেকে সড়কের পাশে ছিটকে পড়েন তিনি। এসময় সড়কের পাশে থাকা একটি পুরোনো টেলিভিশনের গ্লাস তাঁর গলায় লেগে সেখানে কেটে মারাত্মক জখম হয়। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে মারা যান মোমিন।
শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা: আসমা আক্তার জানান, বিকেলের দিকে সড়ক দুর্ঘটনার শিকার ৩জনকে আহত অবস্থায় এখানে আনা হয়। পরে তাদের অবস্থা মারাত্মক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
শ্রীপুর থানার উপপরিদর্শক (এস.আই) তানসেন মোহনা টেলিভিশনকে বলেন, “অটোরিকশা ও মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার খবর অবগত হয়ে ঘটনাস্থল ও শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরিদর্শন করা হয়। সেখান থেকে রোগী রেফার্ড করার তথ্য পাওয়া যায়। কিন্তু এ বিষয়ে এখনো কেও পুলিশের সাথে যোগাযোগ করেনি।