নিহত শামীমের খালাতো ভাই বাকেন শেখ বলেন, নুরু মন্ডলের পাড়া এলাকায় মাটি খনন কাজে ব্যবহৃত ভেকু (এক্সকেভেটর) কাজ করার সময় এক সাপ্তাহ আগে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে খালের পানিতে পড়েছিল। এতে ওই খালের পুরো পানি বিদ্যুতায়িত হয়ে যায়। বিষয়টি নিহত নুরু মোল্লা টের না পেয়ে বিদ্যুতায়িত ওই পানি স্পর্শ করেন। এতে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান। পরে বিদ্যুতের তার অপসারণ করতে গিয়ে তার আপন ভাতিজা শামীম মোল্লা বিদ্যুতায়িত হয়ে গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকেও মৃত ঘোষণা করেন।
দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আ. রহমান মন্ডল বলেন, পল্লী বিদ্যুতের ম্যান লাইন থেকে তার ছিড়ে পানিতে পরেছিলো এতে পানি বিদ্যুতায়িত হয়ে যায়। ঘটনাস্থলে চাচা নিহত হন। আর ভাতিজা হাসপাতালে নেওয়ার পথে মৃত্যু বরন করেন।
গোয়ালন্দ পল্লী বিদ্যুৎ বোর্ড শাখার প্রশাসনিক কর্মকর্তা ইকরামুল হাসান বলেন, বিদ্যুৎ লাইন থেকে তার ছিড়ে পানিতে পড়ে রয়েছে। এ সংবাদ স্থানীয় কেও আমাদের কে অবহিত করে নাই। পাশের বালুর চাতালে মাটি খনন কাজে ব্যবহৃত ভেকু (এক্সকেভেটর) তারটি ছিড়ে ফেলতে পারে।