দিনাজপুরের খানসামায় দাদা কর্তৃক কিশোরী নাতনীকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে, এ ব্যাপারে ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে খানসামায় থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি গত ১৮ অক্টোবর বুধবার উপজেলার আলোকঝাড়ী ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের কিশোরী মেয়ে (১৩) নিজ বাড়ীর পূর্ব পাশে থাকা পাকা রাস্তার সরকারী গাছ থেকে শুকনো কাপড় আনতে যায়।
এ সুযোগে পার্শবর্তী বাড়ির সর্ম্পকিত দাদা মৃত. ওমর আলীর ছেলে মো. আশরাফ আলী (৬০) দুপুর আনুমানিক দেড়টার সময় ২০ টাকার দুইটা নোট দেখিয়ে তার সঙ্গে যেতে বলে। মেয়েটি যেতে না চাইলে, তার হাত ধরে প্রতিবেশী জনৈক আবু তালেবের নির্মাণাধীন ফাঁকা বাড়ীর টয়লেটের ভিতরে নিয়ে যায়।
একপর্যায়ে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের জন্য কু-প্রস্তাবসহ তার পরিহিত কাপড় খুলতে বলে। মেয়েটি উক্ত কু-প্রস্তাবে রাজী না হওয়ায়, তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক ধর্ষণের উদ্দেশ্যে ধস্তাধস্তিসহ তার পরিহিত জামা ও পায়জামার অর্ধেক অংশ খুলে ফেলে।
এ সময় মেয়েটি চিৎকারের চেষ্টা করলে অভিযুক্ত আশরাফ মেয়েটির মুখ চেপে ধরে বলে, চিৎকার করলে তোর মানসম্মান যাবে। মেয়েটি কৌশলে তার মুখ থেকে হাত সরিয়ে ডাক চিৎকার করতে থাকলে, আশেপাশে থাকা লোকজন দৌড়ে আসে। দৌড়ে আসা লোকজন তাদের আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পায়। অভিযুক্ত আশরাফ আলী মেয়েটিকে ছেড়ে দিয়ে সুকৌশলে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় পরের দিন মেয়েটির বাবা ফরহাদ আলী বাদী হয়ে খানসামা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন।
খানসামা থানার ভাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা চিত্ত রঞ্জন রায় জানান, এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। অভিযুক্ত আসামী পলাতক রয়েছেন। তাকে আটক করার চেষ্টা চলছে।