বিএনপির অবরোধ শুরুর আগের রাতে গাজীপুর ও চট্টগ্রামে তিনটি বাসে আগুন দেওয়া হয়েছে। এসব ঘটনায় কেও হতাহত হননি। বাসে আগুন দেওয়া ব্যক্তিদের শনাক্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) সকাল থেকে বিএনপির তিন দিনের অবরোধ কর্মসূচি শুরু হয়েছে। আগামী বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত দেশব্যাপী রাজপথ, রেলপথ ও নৌপথে সর্বাত্মক অবরোধের ঘোষণা দিয়েছে দলটি। এর আগে সোমবার রাতে তিনটি বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটল।
চট্টগ্রামে বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনাটি ঘটে নগরের দামপাড়া বাস কাউন্টারের সামনে। রাত ৯টা ৫০ মিনিটে মিনিবাসটিতে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। পর ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। ঘটনার পরপর সিডিএ অ্যাভিনিউয়ের দামপাড়া থেকে জিইসি পর্যন্ত যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। আগুন নেভানোর পর চলাচল স্বাভাবিক হয়।
ঘটনাস্থলে যাওয়া আগ্রাবাদ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মকর্তা খান খলিলুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, বাসটি গ্যাসচালিত। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নেভানোর পাশাপাশি গ্যাসের সিলিন্ডারের সংযোগ বিছিন্ন করেন। বাসের জানালার কাচ, আসনসহ সবকিছু পুড়ে গেছে।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (উত্তর) পংকজ দত্ত বলেন, কে বা কারা আগুন দিয়েছে, এখনো বলা যাচ্ছে না। ঘটনার সময় মিনিবাসটি রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছিল। বাসে কোনো যাত্রী ছিলেন না। ঘটনাস্থলের আশপাশে অনেক সিসিটিভি ক্যামেরা আছে। এগুলোর ফুটেজ যাচাই–বাছাই করে জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করা হবে।
গাজীপুর সিটি করপোরেশন এলাকা এবং শ্রীপুর উপজেলায় সোমবার রাতে দুটি বাসে আগুন দেওয়া হয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সিটি করপোরেশনের বাসন থানার ইটাহাটা এলাকায় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে থেমে থাকা একটি বাসে রাত আটটার দিকে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। এ সময় যাত্রীরা দৌড়ে নেমে যান। পরে স্থানীয় লোকজন আগুন নেভান। আগুনে বাসের কিছু অংশ পুড়ে যায়।
স্থানীয় লোকজনের বরাত দিয়ে গাজীপুর মেট্রোপলিটনের বাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সিদ্দিক জানান, একদল দুর্বৃত্ত বাসে আগুন দিয়ে পালিয়ে গেছে। এ ঘটনায় হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন জানান, বাসটি গড়গড়িয়া মাস্টারবাড়ি এলাকায় ঢাকা অভিমুখী লেনে এসে থামে। যাত্রী নিয়ে বাসটি ছেড়ে দেওয়ার মুহূর্তে একটি মোটরসাইকেলে করে দুই ব্যক্তি এসে সেখানে থামেন। তাঁদের মধ্যে একজন পেট্রল ভরা বোতল বাসের ভেতরে নিক্ষেপ করে আগুন ধরিয়ে দিয়ে দ্রুত স্থান ত্যাগ করেন।