মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার নয়াগাঁও গ্রামের পশ্চিম পাড়া এলাকায় সায়লা নামের এক গৃহবধূ ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে স্বামীকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। নিহত সুজন দেওয়ান রঙ মিস্ত্রির পেশায় নিয়োজিত ছিলেন। সুজন-সায়লা দম্পত্তির ৪ পুত্র সন্তান রয়েছে।
নিহত সুজনের বোন আকলিমা বেগম জানান, দীর্ঘদিন যাবৎ সুজনের সাথে তার স্ত্রীর পরকীয়া প্রেম নিয়ে সংসারে ঝগড়া চলছিলো।
এই ঘটনায় একাধিকবার পারিবারিকভাবে মিমাংসা করা হয়েছিলো। কিন্তুু প্রতিদিন এই বিষয়ে সন্তানদের সামনেই ঝগড়ায় জড়িয়ে পড়তেন সুজন-সায়লা দম্পত্তি।
শনিবার সকালে পশ্চিম পাড়া এলাকা থেকে সুজনের বোন আকলিমার কাছে ফোন আসে তার ভাই সুজন অসুস্থ। আকলিমা ভাইয়ের বাড়িতে গিয়ে দেখতে পায় তার ভাই সুজন মারা গেছে। সুজনের ভাড়া বাড়ি থেকে মৃতদেহ বোন আকলিমার বাড়িতে নেয়ার অনুরোধ করেন সুজনের স্ত্রী ও শ্বশুর। এরপর সুজনের মৃতদেহ নিয়ে তার বোন শহরের ইদ্রাকপুরের চলে আসেন।
পরবর্তীতে আকলিমার বাড়িতে সুজনের আত্মীয়রা মৃতদেহ দাফনের জন্য প্রস্তুুতি নিলে সুজনের গলায় এবং পিঠে একাধিক আঘাতের চিন্হ দেখতে পায়। বিষয়টি স্থানীয়দের সন্দেহ হলে পুলিশে খবর দেয় স্বজনরা। পুলিশ এসে সুজনের স্ত্রী-সন্তান এবং শ্বশুরকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সন্দেহ প্রকাশ করে। পরে নিহতের সুরতহাল সম্পন্ন করে ময়না তদন্তের সিধান্ত গ্রহণ করেন পুলিশ। নিহতের মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এ ঘটনায় নিহত সুজনের স্ত্রী সায়লা ও শশুর মনির হোসেনকে আটক করেছে পুলিশ। তবে সুজনের স্ত্রী এবং শশ্বুর হত্যার ঘটনা অস্বীকার করেছেন। সারারাত মদপান করে সুজন নিজে আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবী তাদের।
এই বিষয়ে মুন্সীগঞ্জ সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার থান্দার খাইরুল ইসলাম জানান, মৃতদেহের শরিরে একাধিক আঘাতের চিন্হ পাওয়া গেছে। এটি আত্মহত্যাও হতে পারে বা শ্বাসরোধ করে হত্যাও হতে পারে। ময়নাতদন্তের পর প্রকৃত কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।