ঝিনাইদহে স্ত্রী ও সন্তান হত্যা মামলায় স্বামী সুজন হোসেনকে মৃত্যুদন্ডাদেশ দিয়েছে আদালত। আজ দুপুরে অতিরিক্ত দায়রা জজ ২য় আদালতের বিচারক মোঃ আব্দুল মতিন এ দন্ডাদেশ প্রদান করেন। মৃত্যু দন্ডাদেশ প্রাপ্ত আসামী শৈলকুপা উপজেলার দোহা নাগিরহাট গ্রামের বিশে হোসেনের ছেলে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, শৈলকুপা উপজেলার নোন্দীর গাতী গ্রামের মৃত আহম্মদ বিশ্বাসের মেয়ে ইয়াসমিন খাতুনের একই উপজেলার সুজন হোসেনের সাথে বিবাহ হয়। তাদের ৪ বছরের একটি পুত্র সন্তান ছিল। আসামী সুজন অন্য নারীর প্রতি আসক্ত হয়ে স্ত্রী উপর নির্যাতন করে আসছিল।
এরপর ২০১৬ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারী আসামী সুজন তার স্ত্রী সন্তান নিয়ে বেড়াতে গিয়েছে বলে ইয়াসমিনের পরিবার জানতে পারে। কিন্তু বেশ কয়েকদিন তাদের অনেক খোজাখুজি করেও পাওয়া যায় না। পরে ইয়াসমিনের মা সালেহা বেগম বাদী হয়ে ৬ জনের নাম উল্লেখ ২০১৬ সালের ২২ মার্চ আদালতে অপহরণ ও হত্যা মামলা দায়ের করে। আদালত মামলাটি এজাহার হিসেবে শৈলকুপা থানাকে গ্রহন করার নির্দেশ দেন।
পরে পুলিশ তদন্ত করে জানতে পারে আসামী সুজন ফরিদপুর উপজেলার সদরপুর থানায় পালিয়ে আছে। সেখান থেকে তাকে গ্রেফতার করলে আসামী আদালতে হত্যার স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দেয়। তার স্ত্রী ও সন্তানকে ফরিদপুর জেলার পদ্মনদীর চরে গলায় ফাস ও গলা টিপে হত্যা করে বালি চাপা দিয়ে পালিয়ে ছিল।
পুলিশ তদন্ত শেষে ২০১৭ সালের ৩১ জানুয়ারী আসামী সুজন হোসেনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশীট দাখিল করে। দীর্ঘবিচারিক প্রক্রিয়া শেষে আদালত আসামীকে মৃত্যুদন্ডাদেশ প্রদান করেন।