ভারতীয় দুই নাগরিকের লাশ দীর্ঘদিন ধরে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে রাখা আছে। লাশ দুটি নিয়ে বিপাকে পড়েছে শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল ও জেলা কারাগার কর্তৃপক্ষ। কারণ, তাঁদের লাশ পাহারা দিতে হচ্ছে কারারক্ষীদের।
এ ছাড়া লাশ রাখা ও সংরক্ষণের ভাড়া বাবদ ৯ লাখ ৭০ হাজার টাকা চেয়ে কারা কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছে সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ওই দুজন হলেন সতেন্দ্র কুমার ও বাবুল সিং। অনুপ্রবেশ নিয়ন্ত্রণ আইনে গ্রেপ্তার ভারতীয় ওই দুই নাগরিক শরীয়তপুর জেলা কারাগারে বন্দী ছিলেন। তাঁদের মধ্যে সতেন্দ্র ১১ মাস ও বাবুল সাড়ে ৭ মাস আগে মারা গেছেন।
শরীয়তপুর কারাগারের জেলার (ভারপ্রাপ্ত) মুহাম্মদ আবু সাদ্দাত জানান, সতেন্দ্র কুমারকে গত বছরের ৮ অক্টোবর পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্ত থেকে সন্দেহভাজন হিসেবে আটক করা হয়। পরে অনুপ্রবেশের অভিযোগে পদ্মা সেতু দক্ষিণ থানা পুলিশের করা মামলায় ওই দিনই তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
চলতি বছরের ১৮ জানুয়ারি সকালে সতেন্দ্র কারাগারের ভেতরে অসুস্থ হয়ে পড়েন। বেলা ১২টার দিকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। লাশ ময়নাতদন্ত শেষে হাসপাতালের হিমাগারেই রাখা হয়।
বাবুল সিং গত বছরের ১৭ মে পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্তের টোল প্লাজা এলাকা থেকে আটক হন সেনাবাহিনীর হাতে। তার নামেও অনুপ্রবেশের অভিযোগে মামলা হয়। ওইদিনই পাঠানো হয় কারাগারে। চলতি বছরের ১৫ এপ্রিল রাতে বাবুল অসুস্থ হয়ে পড়েন। রাত সাড়ে ১০টার দিকে তাকেও শরীয়তপুর হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
একটি মরদেহের জন্য প্রতিদিনের ফ্রিজ ভাড়া দুই হাজার টাকা নির্ধারণ করা আছে। সে হিসাবে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত লাশ দুটি হিমাগারে রাখার ভাড়া হয়েছে ৯ লাখ ৭০ হাজার টাকা।” বিলের বিষয়ে জানতে চাইলে জেলার (ভারপ্রাপ্ত) মুহাম্মদ আবু সাদ্দাত বলেন, “দুই ভারতীয় বন্দির লাশ ঢাকায় নেওয়ার জন্য আইজি প্রিজনকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। লাশ দুটি ভারতীয় কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তরের জন্য পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কাজ করছে।
ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ আসা পর্যন্ত লাশ শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের ফ্রিজেই সংরক্ষণ করা থাকবে বলে জানান তিনি।