বাজারে নতুন আলু উঠছে। পুরাতন আলুর যোগানও পর্যাপ্ত। তারপরও বাড়ছে আলুর দাম। ভরা মৌসুমের দাম বৃদ্ধির এই দৃশ্য অতীতে কখনো দেখা যায়নি। স্বাভাবিক সবারই এখন প্রশ্ন ভরা মৌসুমে আলুর দাম বাড়ছে কেন? এ ব্যাপারে নিশ্চিুপ সরকারি তদারকি সংস্থাগুলো।
রাজধানীর পাইকারি বাজারগুলোতে আলুর কেজি মানভেদে ৬২ থেকে ৬৫ টাকা। যা খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৭৫ টাকার মধ্যে। তবে পাড়া-মহল্লার কোনো কোনো দোকানে দাম ৮০ টাকা বিক্রি হতে দেখা গেছে।
পর্যাপ্ত মজুতের পরও দেশে হিমাগার মালিকদের কারসাজিতে গত জুন থেকেই অস্থির আলুর বাজার। সে সময় প্রতিকেজি আলু খুচরা বাজারে সর্বোচ্চ ৫৫ টাকায় বিক্রি করতে দেখা যায়। পরে তদারকি জোরদার করলে কেজি ৩৫ টাকায় নেমে আসে। তবে তদারকি শিথিল করা হলে আগস্ট শেষে ফের বাড়তে থাকে দাম। আগস্টের শুরুতে কেজি ৪০ টাকা বিক্রি হলেও শেষে ৫০ টাকা বিক্রি হয়। সেপ্টেম্বরে সর্বোচ্চ ৬৫ টাকায় বিক্রি হলে ১৪ সেপ্টেম্বর প্রতিকেজি খুচরা মূল্য ৩৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়। তারপরও দাম না কমলে অভিযান পরিচালনা করে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট না ভাঙতে পেরে আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়। আমদানি করা আলু দেশে এলেও দাম কমে না। এছাড়া নতুন আলু বাজারে এলেও এখনো বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি সর্বোচ্চ ৮০ টাকা।
বাজারে আলুর দাম বাড়ার কারণ হিসেবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারে চাহিদার তুলনায় আলু কম থাকায় সরকার দেড় মাসের জন্য আলু আমদানির অনুমতি দিয়েছিল। তবে আমদানি বন্ধ করায় কিছুদিন যাবত বাজারে এর দাম বেড়েছে। পাশাপাশি এখনও পাইকারি বাজারগুলোতে নতুন আলু পর্যাপ্ত পরিমাণে সরবরাহ হয়নি। সে কারণে নতুন ও পুরোনো দুই ধরনের আলুর দামই বাড়তি।
মানুষের বর্তমান সমস্যা বাজার দর, এটা কমাতে পারলে দেশ থেকে একটা বড় সংকট কেটে যেত। কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, সবকটি পণ্যের সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে। যারা এসব নিয়ন্ত্রণ করবে তারা নির্বিকার। কোনো অপশক্তির কারণে সংস্থাগুলো ব্যবস্থা নিতে পারছে না। এই সিন্ডিকেট ভাঙতে হবে। তা না হলে অসাধুরা ভোক্তাকে ঠকাতেই থাকবে।