ময়মনসিংহ-১০ (গফরগাঁও) আসনে প্রকাশ্যে নৌকায় সিল মারা ও ভোটারদের নৌকায় ভোট দিতে বাধ্য করার অভিযোগে প্রিসাইডিং অফিসারসহ তিনজনকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। পরে তাদেরকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
নৌকায় প্রকাশ্যে সিল মারায় মদিনাতুল উলুম কওমি মাদ্রাসা কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ও নৌকা প্রার্থীর এজেন্টকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
ময়মনসিংহ-১০ (গফরগাঁও) আসনে ১১১টি কেন্দ্রে সকাল আটটা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। এ আসনে পাঁচ প্রার্থীর মধ্যে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী ফাহমী গোলন্দাজ বাবেল ছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা ডা. আবুল হোসেন দীপু ও অ্যাডভোকেট কায়সার আহমেদ উল্লেখ যোগ্য প্রার্থী ছিলেন। কিন্তু নির্বাচনের পরিবেশ না থাকায় সকাল ১০টার দিকে তারা ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন।
স্বতন্ত্র প্রার্থী ড. আবুল হোসেন দীপু বলেন, আজকে সুষ্ঠু পরিবেশ ও ভোট দেওয়ার পরিবেশ না থাকার কারণে ট্রাক প্রতীকের প্রার্থী হিসেবে ভোট বর্জন ঘোষণা করছি। কারণ এভাবে জোরপূর্বক ভোট দিয়ে কোনও ফল আসবে না। এটি এক ধরনের প্রহসন। তাই প্রহসনের এ নির্বাচন আমি বর্জন করলাম।
ফেসবুক লাইভে নির্বাচন বর্জন করেন ঈগল প্রতীক নিয়ে লড়াই করা অ্যাডভোকেট কায়সার আহমেদ। তিনি বলেন, হুমকি-ধমকি দিয়ে প্রকাশ্যে নৌকায় সিল মারা ও ভোটের পরিবেশ না থাকায় ভোট বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এক পেশে নির্বাচন, গফরগাঁয়ে কোনো নির্বাচনের পরিবেশ নেই। এজেন্টদেরকে কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। নৌকায় সিল মারছে এবং সেটি উৎসব করে ফেসবুকে লাইভ করছে। প্রশাসনের ন্যাক্কারজনক ও অনিরপেক্ষ ভূমিকার কারণে ও প্রশাসনের মদদে এসব ঘটানো হয়েছে। তাই ভোট বর্জন করেছি।