ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি আশরাফ আহমেদ বলেছেন, দেশের বিদ্যমান রাজস্ব প্রদান প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ অটোমেশনের আওতায় আনা সম্ভব হলে, ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের হয়রানি কমবে। সেই সাথে সম্ভাবনাময় নতুন করদাতাদের এ প্রক্রিয়ার সাথে যুক্ত করা যাবে এবং করজাল সহজে বৃদ্ধি পাবে। তিনি মনে করেন বিদ্যমান পরিস্থিতিতে রাজস্ব আয় বাড়াতে অটোমেশনের বিকল্প নেই।
শনিবার ঢাকায় ডিসিসিআই আয়োজিত ‘আয়কর আইন ২০২৩: কর্পোরেট করের চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক কর্মশালায় তিনি একথা বলেন।
আশরাফ আহমেদ বলেন, দেশের মোট জনগোষ্ঠীর অনুপাতে করদাতার হার অত্যন্ত কম, যেখানে ১৭ কোটি মানুষের দেশে মাত্র ৪০ লাখ মানুষ কর প্রদান করে থাকেন, যা মোটেও কাম্য নয় এবং কর প্রদানের এ নিন্মহার বিদ্যমান করদাতাদের উপর বাড়তি চাপ তৈরি করে থাকে। এছাড়া করদাতাদের এ স্বল্পহার দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ধারাকে স্লথ করছে।
তিনি আরও বলেন, কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীরা আয়কর আইন ২০২৩ বিষয়ে সম্যক ধারণা পাবে। নতুন আইনকে বুঝতে সহায়ক হবে, বিশেষ করে উদ্যোক্তাদের কর্পোরেট কর প্রদানে উৎসাহিত করবে। আয়কর আইন-২০২৩’-এর ১৬৩(২)(খ) ধারা অনুযায়ী কর্তন বা সংগৃহীত কর উৎসে করকে নূন্যতম কর হিসেবে বিবেচনার বিধান রয়ে গেছে, যা প্রকৃতপক্ষে কর্পোরেট করহারকে বৃদ্ধি করছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) যুগ্ন কমিশনার ওয়াকিল আহমেদ জানান, ২০২৩ সালে প্রায় ৪ লাখের অধিক করদাতা ই-টিন সার্ভিস ব্যবহারের মাধ্যমে কর প্রদান করেন, বিগত বছরে এর সংখ্যা ছিল ২ লাখ ৫০ হাজার। এতে প্রতীয়মান হয় অটোমেশন প্রক্রিয়া করবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। এনবিআরের যুগ্ন কমিশনার মুরাদ আহমেদ ব্যবসয়ীদের ই-টিডিএস পদ্ধতি আরও বেশি হারে ব্যবহারে এগিয়ে আসার আহবান জানান।
কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডিসিসিআই’র কাস্টমস, ভ্যাট অ্যান্ড ট্যাক্সেশন স্ট্যান্ডিং কমিটির উপদেষ্টা সনদধারী হিসাববিদ স্নেহাশীষ বড়ুয়া।
কর্মশালায় ঢাকা চেম্বারের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। ঢাকা চেম্বারের সদস্যভুক্ত প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৭০ জন প্রতিনিধি কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন।