সীমান্ত এলাকায় মর্টার শেলের আঘাতে দুজন নিহত হয়েছেন, এখন কাদের বিরুদ্ধে মামলা হবে—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে আইজিপি বলেন, মামলার আসামি অজ্ঞাত। তদন্তে যাদের নাম আসবে, পরবর্তী সময়ে সেভাবেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেছেন, বান্দরবানের ঘুমধুম সীমান্তে কে মর্টার শেল নিক্ষেপ করেছে, তা এখনো সুনিশ্চিত নয়। এ ঘটনায় পুলিশ একটা মামলা করেছে। তদন্তে যাদের নাম আসবে, পরবর্তী সময়ে সেভাবেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান তিনি। গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশে গুরুতর আহত ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) প্রোটেকশন বিভাগে কর্মরত আবদুর রাজ্জাককে রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে দেখতে যান আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। ভারতে উন্নত চিকিৎসা শেষে রাজ্জাক এখন রাজারবাগে কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী সীমান্তে বাংলাদেশ পুলিশ, বিজিবি ও প্রশাসন—সবাই মিলে কাজ করছে বলে জানান আইজিপি। দেশের প্রয়োজনে দায়িত্ব পালনের জন্য বাংলাদেশ পুলিশের প্রত্যেক সদস্য প্রস্তুত আছেন বলেও জানান তিনি।
বর্তমান সীমান্ত পরিস্থিতিতে রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকায় নজরদারি বাড়ানো হয়েছে জানিয়ে আইজিপি বলেন, ‘রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকায় পুলিশের উপস্থিতি বৃদ্ধিসহ পেট্রল বৃদ্ধি করা হয়েছে। সীমান্ত এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশসহ সব সংস্থা দায়িত্ব পালন করছে।’
এ সময় পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) প্রধান ও অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক মো. মনিরুল ইসলাম, পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক (প্রশাসন) কামরুল আহসান, ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।