১৬ বছর বয়সে নিজের প্রথম আন্তর্জাতিক ইনিংসে সেঞ্চুরি। ৩৭ বলে ১০০। সেসময়ের ওডিআই রেকর্ড। নাইরোবিতে শ্রীলংকার বিপক্ষে ৪০ বলে ১০২। দিনটি ছিল ১৯৯৬-র ৪ অক্টোবর। নিশ্চয় বুঝতে পারছেন, শহীদ আফ্রিদির কথা বলা হচ্ছে। আজ তার জন্মদিন। ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা এই অলরাউন্ডারের ৪৭তম জন্মদিন আজ।
১৯৮০ সালের আজকের এই দিনে পাকিস্তানে জন্মগ্রহণ করেন শহীদ আফ্রিদি। আফ্রিদিকে ক্রিকেটের এক কমপ্লিট প্যাকেজ বলা হয়। যেখানে বিধ্বংসী ব্যাটিং, স্টাইলিশ লেগ স্পিন আর নায়কোচিত উদযাপনতো আছেই। অবিশ্বাস্য ক্যারিয়ারে বিশাল বিশাল ছক্কা হাঁকানোর জন্য আফ্রিদি সবার কাছে ‘বুমবুম’ নামে পরিচিত।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে রেকর্ড ৪৭৬টি ছক্কা হাঁকানোর কীর্তিও আছে তার ঝুলিতে। এছাড়া বল হাতে টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ উইকেট (৯৭) তুলে নেওয়ার রেকর্ডও তার। তার ক্যারিয়ারে ৩৯৮টি ওয়ানডে ম্যাচে ৮০৬৪ রান আর ৩৯৫ উইকেট নেওয়ার কীর্তি গড়েছেন আফ্রিদি। পাকিস্তানের হয়ে একমাত্র খেলোয়াড় হিসেবে ৫২৩টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার রেকর্ডও আছে তার নামে।
এছাড়া ২৭ টেস্টের ক্যারিয়ারে মাত্র ৫ সেঞ্চুরি আর ৮ ফিফটি নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে তাকে। অন্যদিকে ৯১ টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে ১৪১৬ রান করেন। তবে আফ্রিদিকে শুধু ব্যাটিং দিয়ে মাপলে চলবে না। তার বোলিং হচ্ছে আসল শক্তির জায়গা। বোলার হিসেবে যেকোনো মুহূর্তে ম্যাচ ঘুরিয়ে দেওয়ার সামর্থ্য আছে তার।
৩৯৮ ওয়ানডেতে হাত ঘুরিয়ে ৩৯৫ উইকেট (৯ ম্যাচে ৫ উইকেট নেওয়ার কীর্তিও আছে) তার বোলিং সামর্থ্যকে ঠিক তুলে ধরতে সক্ষম নয়। স্পিন বোলার হলেও তার বলের গতি প্রায়ই ব্যাটসম্যানদের বিভ্রান্ত করে দেয়।
আফ্রিদির সবচেয়ে বড় কীর্তি পাকিস্তানের হয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতা। এছাড়া ২০০৭ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের অভিষেক আসরে সিরিজ সেরা আর পরের আসরের ফাইনালে ম্যাচসেরা নির্বাচিত হয়েছিলেন আফ্রিদি। দ্বিতীয় আসরে (২০০৯) তার দেশ পাকিস্তান প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতার স্বাদ পায়। সেবার সেমিফাইনাল আর ফাইনালে ফিফটি করেছিলেন তিনি।