সংবাদ সারাদেশ

ভৈরবে মেঘনা নদীতে পর্যটকবাহী নৌকা ডুবি

জামাল আহমেদ, ভৈরব প্রতিনিধি

কিশোরগঞ্জের ভৈরবের মেঘনা নদীতে  বাল্কহেডের ধাক্কায় পর্যটকবাহী নৌকা মেঘনা নদীতে ডুবে ৮জন নিখোঁজ রয়েছেন। এ ঘটনায় সুর্বণা নামে একজন মহিলা নিহত হন এবং এক যুবককে আহত অবস্থায় ঢাকায় পাঠানো হয়। 
নিখোঁজ যাত্রীরা হলেন- ভৈরব হাইওয়ে থানার পুলিশের কন্সটেবল সোহেল রানা (৩৫), তার স্ত্রী মৌসুমি (২৫), মেয়ে মাহমুদা (৭) ও ছেলে রায়সুল (৫), ভৈরব পৌর শহরের আমলাপাড়া এলাকার ঝন্টু দে’র স্ত্রী রুপা দে (৩০), তার ভাইয়ের মেয়ে আরাধ্য (১২) ও ভগ্নিপতি বেলন দে (৩৮) এছাড়াও ও নরসিংদীর রায়পুরা এলাকার আনিকা আক্তার (১৮)।
নিখোঁজদের স্বজনরা অধিরআগ্রহে প্রিয়জনদের দেখার অপেক্ষার প্রহর গুনছে। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার বিকেলে ভৈরব সেতু এলাকা মেঘনা নদীর পাড় থেকে ১৬জন যাত্রী নিয়ে আশুগঞ্জ সোনারামপুর চরে ঘুরতে যায়। সেখান থেকে সন্ধ্যা আনুমানিক ৬টার দিকে ভৈরবে ফেরার পথে মাঝ নদীতে পর্যটনবাহী নৌকাটিকে একটি বাল্কহেড ধাক্কা দিলে নৌকাটি ডুবে যায়।
এসময় স্থানীয় লোকজন ও নৌ পুলিশ ৯/১০ জনকে উদ্ধার করেন। গুরুতর আহত অবস্থায় দুইজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে একজন মহিলাকে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন এবং তোফাজ্জল হক (২২) নামের এক যুবককে আহত অবস্থায় ঢাকায় রেফার্ড করেছেন।
সুন্দরবন ভ্রমণতরীর মালিক নজরুল ইসলাম জানান, দীর্ঘ বিশ বছর ধরে ভৈরব থেকে আশুগঞ্জ চরে যাত্রী পারাপার করেন।  সন্ধ্যায় সোনারামপুর চর থেকে ভৈরব ব্রীজের নিচে ফেরার পথে একটি বাল্কহেড তার নৌকায় পিছনে ধাক্কা দিলে মাঝ নদীতে ১৬জন যাত্রী নিয়ে নৌকা ডুবে যায়।
এ ঘটনায় হাইওয়ে পুলিশের কনস্টেবল সোহেল, তার স্ত্রী ও দুই সন্তানসহ ৬জন নিখোঁজ হয়। এঘটনায় খবর পেয়ে নৌ পুলিশ নদী থেকে কয়েকজন যাত্রীকে উদ্ধার করেন। উদ্ধারকৃতদের মধ্যে একজন মহিলা মারা গেছে। এ ঘটনায় শনিবার সকাল থেকে নিখোঁজদের উদ্ধারের জন্য ঘটনাস্থলে এসে নৌ পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।
বিষয়ে ভৈরব নৌ থানার ওসি মনিরুজ্জামান জানান, নৌ পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস যৌথভাবে অভিযানে নদীতে উদ্ধার অভিযানে রয়েছে।
Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button