রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের তালতলা এলাকার একটি বাসা থেকে এক ব্যক্তি ও তার ছেলের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় তার মেয়েকেও গুরুতর জখম অবস্থায় পাওয়া গেছে। রোববার সন্ধ্যায় তালতলার মোল্লাপাড়া এলাকার একটি ভবনের দ্বিতীয় তলার ফ্ল্যাট তাদেরকে উদ্ধার করা হয়। এ সময় ঘরে স্কুলপড়ুয়া মশিউরের একমাত্র মেয়েকেও গুরুতর জখম অবস্থায় পাওয়া গেছে।
রাজধানীর তালতলা মোল্লাপাড়া এলাকার একটি বাড়ির দ্বিতীয়তলা থেকে দরজা ভেঙে বাবা মশিউর রহমান ও ছেলে ইন্টারমিডিয়েটের শিক্ষার্থী সাদাতের মরদেহ এবং গুরুতর অবস্থায় স্কুলপড়ুয়া মেয়ে ১৩ বছরের বয়সী সিনথিয়াকে উদ্ধার করা হয়।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, মশিউর রহমান ও ছেলের মরদেহ উদ্ধার করা হলেও মেয়েটি এখনো জীবিত। তবে মুমুর্ষু অবস্থায় সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
পুলিশের ধারণা, বাবা মশিউর রহমান (৫০) প্রথমে মেয়েকে হত্যার চেষ্টা করেন, এরপর ছেলেকে শ্বাসরোধে হত্যার পর নিজে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে পড়েন। পুলিশ বলছে, মোটা অঙ্কের টাকার ঋণের বোঝা আর উত্তরায় কেনা একটি প্লটের দখল না পাওয়া নিয়ে হতাশায় ভুগছিলেন মশিউর। এ হতাশা থেকেই হয়ত এমন ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারেন।
মরদেহ শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানোসহ মেয়েকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।ঘটনার আগে মশিউরের স্ত্রী প্রাইভেট পড়াতে বাইরে যান। বাসায় ফিরে অনেক সময় ধরে ডাকাডাকি করেও কোন সাড়া না পাওয়ায় নিরাপত্তা কর্মী সেখানে উপস্থিত হন। বাড়ি মালিকের বড় ভাই জানান মশিউর রহমানের পারিবারিক কলহ ছিল।
নিহত মশিউর ভদ্র ও বিনয়ী গোছের মানুষ ছিলেন। ছেলে সাদাবও ছিল সাদাসিদে স্বভাবের। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে পুলিশ। হত্যা নাকি আত্মহত্যা জানতে তদন্তে নেমেছে শেরেবাংলা নগর থানা পুলিশ, সিআইডি, ও পিবিআই।