কোয়ার্টার ফাইনালে প্রথম লেগে আটালান্টার কাছে ৩-০ গোলে হারায় এবার দ্বিতীয় লেগ পর্বে দলটির আতিথ্যে খেলে ১-০ গোলে জিতেও সেমিফাইনালে যাবার স্বপ্নভঙ্গ হয় লিভারপুলের। আর ইতালিতে রোমার কাছে ২-১ গোলে হারে এসি মিলান। দুই লেগ মিলিয়ে ৩-১ গোলে হেরে বিদায় হয় রসসোনেরিদের।
জিতেও শেষ রক্ষা হলো না লিভারপুলের। বৃ্হস্পতিবার শেষ আটের দ্বিতীয় লেগের লড়াইয়ে আটলান্টার ঘরের মাঠে খেলতে নামে লিভারপুল। মোহাম্মদ সালাহর একমাত্র গোলে ম্যাচটা ১-০ ব্যবধানে জেতে সফরকারীরা। তবে দুই লেগ মিলিয়ে ৩-১ ব্যবধানে হেরে ইউরোপা লিগ থেকে বিদায় নেয় ক্লপ বাহিনী।
ম্যাচের পঞ্চম মিনিটে আলেক্সান্ডার আর্নল্ডের ক্রস গিয়ে লাগে বক্সে থাকা আতালান্তার মাতেও রুগেরির হাতে। ভিআর চেকে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। সফল স্পটকিকে দলকে এগিয়ে দেন মোহামেদ সালাহ। এরপর পুরো ম্যাচে আধিপত্য করে রেখে খেলে লিভারপুল। ৭১ শতাংশ সময় বল দখলে রেখে ১০টি শট নিয়ে ৫টি লক্ষ্য বরাবর রাখে তারা। কিন্তু অনেক চেষ্টা করেও জালের দেখা পায়নি তারা। শেষ পর্যন্ত দুই লেগ মিলিয়ে ৩-১ গোলে পিছিয়ে থেকে আসর থেকে ছিটকে যায় তারা।
এদিকে একই দিনের অন্য ম্যাচে বিদায় ঘণ্টা বেজেছে এসি মিলানের। ১০ জনের রোমাকে পরাস্ত করতে পারেনি ইতালিয়ান জায়ান্টরা। শেষ আটের লড়াইয়ে ২-১ ব্যবধানে হেরেছে মিলান। দুই লেগ মিলিয়ে ৩-১ গোলের জয় রোমার।
প্রথম লেগে ১-০ গোলে হারলেও দ্বিতীয় লেগে বেশ ভালোই সুযোগ ছিল এসি মিলানের। বিশেষ করে ৩১তম মিনিটে জেকি সেলিক লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়লে ১০ জনের দলে পরিণত হয় রোমা। যদিও তারা এর আগেই গোলের দেখা পেয়ে যায়, যা করার করে ফেলে এই সময়েই।
ম্যাচের ১২তম মিনিটে জিয়ানলুকা মানচিনি আর ২২তম মিনিটে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন পাওলো দিবালা। রোমা লিড নেয় ৩-০ গোলে। তবে শেষ দিকে মিলানের হয়ে ম্যাথু গাবিয়া একটা গোল পরিশোধ দেয়। তবে হার এড়ানোর জন্য তা যথেষ্ট হয়নি।