জিম্বাবুয়েকে প্রত্যাশিতভাবে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে হারালো বাংলাদেশ। এর আগে প্রথম ম্যাচে ৮ উইকেটের জয় পেয়েছিল নাজমুল হোসেন শান্তর দল। টানা দুই জয়ে সিরিজে ২-০ তে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ দল।
১৩৯ রানের লক্ষ্য ছোঁয়া খুব কঠিন কিছু নয়। কিন্তু বাংলাদেশের টপ অর্ডারের ব্যাটাররা ব্যর্থতার পরিচয় দিলেন। ঠিক জমছিল না ম্যাচও। অবশেষে চার উইকেট হারানোর পর মাহমুদউল্লাহ ও তাওহীদ হৃদয় জুটি বাঁধতেই রঙ পাল্টালো ম্যাচ। নান্দনিক চার ছয়ের ম্যাচে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়লেন তারা দুজন। এর মধ্যে ১০৩ মিটার দূরে পাঠানো মাহমুদউল্লাহর ছক্কা ছিল প্রশংসনীয়।
ম্যাচ শেষে ব্রডকাস্টকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শান্ত বলছিলেন, ‘বোলিং দুর্দান্ত ছিল, তবে আমরা বৃষ্টি নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না। এছাড়া ব্যাটারদের জন্য এটা সহজ নয় (ডিএলএস)। অনেক কিছুই রয়েছে যেখানে আমরা এখনও উন্নতি করতে পারি। জিম্বাবুয়ে মাঝ ওভারে সত্যিই ভাল ব্যাটিং করেছে, তবে আমি আমাদের বোলিং নিয়ে চিন্তিত নই।’
এর আগে দুইবার বৃষ্টি ব্যাঘাত ঘটায় বাংলাদেশের ইনিংসে। তানজিদ হাসান তামিম (১৮) এবার হতাশ করেন। নাজমুল হোসেন শান্তও (১৬) ফর্মে ফেরার ইঙ্গিত দিতে পারলেন না। দারুণ শুরুর পর লিটন দাস (২৩) বলার মতো কিছু করে দেখাতে পারেননি। জাকের আলী (১৩) ফিরে যান দ্রুত। ৯৩ রানে চার উইকেট হারানোর পর হৃদয়-মাহমুদউল্লাহর দর্শনীয় ইনিংসে ১৮.৩ ওভারে ম্যাচ জেতে বাংলাদেশ। ৪ উইকেটে ১৪২ রান করে বাংলাদেশ। মাহমুদউল্লাহ ১৬ বলে ১ ছয় ও ২ চারে ২৬ রানে অপরাজিত ছিলেন। হৃদয় ২৫ বলে ৩ চার ও ২ ছয়ে ৩৭ রানের সেরা ইনিংস খেলে ম্যাচ জেতান।