প্রথম চার ম্যাচে আধিপত্য ধরে রেখে সিরিজ আগেই নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ। ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়েকে ‘বাংলাওয়াশ’ করার দুর্দান্ত সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ। তবে শেষ পর্যন্ত সান্ত্বনার জয়ে লজ্জা এড়ালো রোডেশিয়ানরা।
এদিন টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে ধস নামে বাংলাদেশের। দ্বিতীয় ওভারে প্রথম উইকেট পড়ে টাইগারদের। পুল করতে গিয়ে আউট হন তানজিদ। তানজিদের পর সৌম্য, ৩ ওভার শেষ না হতেই দুই ওপেনার হারায় টাইগাররা। ব্রায়ান বেনেটের শর্ট লেংথের বল কাট করতে গিয়ে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে ক্যাচ তুলেছেন সৌম্য সরকার। তানজিদ, সৌম্যর পর হৃদয়ও কাট করতে গিয়ে হয়েছেন কট বিহাইন্ড।
এরপর মাহমুদউল্লাহর পাল্টা আক্রমণ। নাজমুল ও সাকিবের সঙ্গে জুটি। শেষে জাকের আলীর ঝড়। শেষ টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের গতিপথটা এমন। ১৫ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলার পর নাজমুলকে নিয়ে মাহমুদউল্লাহ গড়েন ৬৯ রানের জুটি। মাহমুদউল্লাহ অবশ্য শেষ করে আসতে পারেননি। ক্যারিয়ারের অষ্টম ফিফটির পরপরই থামেন। তার আগে সাকিবকে নিয়ে যোগ করেন আরও ৩৯ রান।
পুরো সিরিজজুড়েই ব্যাট হাতে ধুঁকছিলেন জিম্বাবুইয়ান অধিনায়ক। সেই রানখরা তিনি আজ কাটালেন ফিফটি হাঁকিয়ে। অন্যপ্রান্তে টাইগারদের হয়ে সবচেয়ে খরুচে বোলিং করা সাইফউদ্দিন যতক্ষণে বেনেটকে ফিরিয়েছেন, ততক্ষণে ম্যাচ প্রায় সফরকারীদের হাতে চলে গেছে। ৪৯ বলে ৭০ রান করেছেন বেনেট। এ ছাড়া রাজা অপরাজিত ছিলেন ৭২ রানে। ফলে ৯ বল হাতে রেখেই জয় তুলে নিলো তার দল।
এই ম্যাচের একাদশে তিন পরিবর্তন নিয়ে নামে বাংলাদেশ। সেই তালিকায় চোখ রাখলে দেখা যায়– ১০ ব্যাটসম্যানের সঙ্গে খেলছেন কেবল ১ জন জেনুইন বোলার। যদিও ব্যাটারদের মধ্যে চারজন আবার নিয়মিত অলরাউন্ডার। সবমিলিয়ে লম্বা ব্যাটিং লাইনআপ নিয়েও দৈন্যদশা বাংলাদেশের।