আসন্ন দশম নারী বিশ্বকাপ আয়োজনের দায়িত্ব পেয়েছে লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল। আয়োজক হওয়ার দৌড় থেকে নিজেদের নাম আগেই প্রত্যাহার করে নেয় যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকো। তখন নিশ্চিত হয়ে যায় ২০২৭ সালের নারী বিশ্বকাপ আয়োজক হওয়ার লড়াইটা হবে ইউরোপ ও লাতিন আমেরিকার।
স্বাগতিক দেশ হিসেবে আজ শুক্রবার ব্রাজিলের নাম ঘোষণা করেছেন ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফান্তিনো। তাতেই হতে যাচ্ছে দারুণ এক ইতিহাস। ল্যাটিন আমেরিকান প্রথম দেশ হিসেবে নারী বিশ্বকাপ আয়োজন করতে যাচ্ছে ব্রাজিল। আয়োজক হওয়ার দৌড়ে তাদের ধারেকাছেও কেউ ছিল না।
এবারই প্রথম উন্মুক্ত ভোটাভুটির মাধ্যমে নারী বিশ্বকাপের স্বাগতিক দেশ নির্বাচন করল ফিফা। থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে ফিফা কংগ্রেসে ৭৮টি দেশের ভোট পেয়েছে ব্রাজিল। ভোট দিয়েছে ফিফার সদস্য ১১৯টি দেশ। পরে এক বিবৃবিতে ল্যাটিন আমেরিকান জায়ান্টদের অভিনন্দন জানিয়েছেন ইনফান্তিনো।
উত্তর আমেরিকার অঞ্চলের দেশ দুটি ২০৩১ বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুতি নেবে বলে জানানো হয়েছিল। পরে গত নভেম্বরে তাদের দেখানো পথে হাঁটে দক্ষিণ আফ্রিকাও। তাদেরও চোখ পরের বিশ্বকাপে। অবশ্য মেয়েদের প্রথম হলেও এর আগে দুবার ছেলেদের বিশ্বকাপ আয়োজন করেছে ব্রাজিল। সেটি ১৯৫০ ও ২০১৪ সালে।
ব্রাজিলিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের সভাপতি এদনাল্দো রদ্রিগেস এক প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছেন, আমরা জানতাম, দক্ষিণ আমেরিকার নারী ও ফুটবলের বিজয় আমরা উদযাপন করতে পারব। দম্ভ করে বলছি না, নিশ্চিত থাকতে পারে, নারীদের জন্য সবচেয়ে সেরা বিশ্বকাপ আমরা উপহার দেব।
এ নিয়ে সভাপতি জিয়ান্তি ইনফান্তিনো বলেন, ‘ব্রাজিলকে অভিনন্দন। ব্রাজিলে আমাদের সেরা বিশ্বকাপ হবে। সেইসঙ্গে বিএনজি-কেও ধন্যবাদ। তারাও বিডে দুর্দান্ত ছিল।’