নিউজিল্যান্ড ‘বিদায়ঘণ্টা’ বাজিয়ে সুপার এইটে ওয়েস্ট ইন্ডিজ
মোহনা অনলাইন
আফগানিস্তানের বিপক্ষে বড় ব্যবধানে হেরে বিশ্বকাপ মিশন শুরু করেছিল নিউজিল্যান্ড। বিশ্বকাপের সি গ্রুপ থেকে নিউজিল্যান্ড সুপার এইটের রেসে ছিটকে যাবে এমনটা কেউ হয়ত ভাবতেও পারেনি। নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষেও ১৩ রানে হেরেছে উইলিয়ামসনের দল। সেইসঙ্গে অলিখিতভাবে সুপার এইটের স্বপ্ন শেষ কিউইদের।
এদিকে হ্যাটট্রিক জয়ে সি গ্রুপ থেকে সুপার এইট নিশ্চিত করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে ১৩ রানের হারে কিউইদের বিদায় অনেকটাই নিশ্চিত। শেষ ওভারে নিউজিল্যান্ডের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ৩৩ রান। মিচেল সান্তনার তিনটি ছক্কার মার মারলেন। সর্বমোট ১৯ রান নিলেন। কিন্তু পরাজয় ঠেকানোর জন্য কোনোভাবেই সেটা যথেষ্ট হলো না। ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে ১৩ রানে হেরে যেতে হলো নিউজিল্যান্ডকে।
নিউজিল্যান্ডের সুপার এইটে যেতে আফগানিস্তানকে বাকি দুই ম্যাচেই হারতে হবে। যেখানে এক প্রতিপক্ষ পাপুয়া নিউগিনি। কখনো বিশ্বকাপে জয় না পাওয়া দলটি আফগানদের হারাবে– এমনটা প্রায় অসম্ভবই বটে। সবমিলিয়ে উইন্ডিজের কাছে হারে বিদায় নিশ্চিত। আর ৬ পয়েন্ট নিশ্চিত করে সুপার এইটে নাম লিখিয়েছে স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
নিউজিল্যান্ডের বিপর্যয়ের শুরুটা হয় ডেভন কনওয়ের উইকেট দিয়ে। আকিল হোসেইনের বলে রস্টন চেজের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। ফিন অ্যালেন খেলছিলেন ব্যাটে-বলে তাল মিলিয়ে। ইনিংস দ্রুতগতির করতে চেয়েছিলেন। তখনই আলজারি জোসেফের দিনের প্রথম শিকার এই ওপেনার। ৩৪ রানে দ্বিতীয় উইকেটের পতন। রাচিন রবীন্দ্রও আশা জাগাতে পারেননি। ১৩ বলে ১০ করে ফেরেন তিনি। এর আগে ২ বলে ১ রান করে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন কেন উইলিয়ামসন।
গত বিশ্বকাপে দুর্দান্ত পারফর্ম করা ড্যারিল মিচেল হতাশ করেছেন এদিন। ১৩ বলে ১২ রান করে গুড়াকেশ মোতির বলে বোল্ড হন তিনি। জিমি নিশাম এবং গ্লেন ফিলিপস খানিকটা আশা দেখিয়েছিলেন বড় কিছু করার। নিশাম ১০ রানে আউট হলে একা হয়ে পড়েন গ্লেন ফিলিপস। মিডলঅর্ডারের এই ব্যাটার ৩ চার আর ২ ছক্কায় করেছেন ৪০ রান।
শেষ ওভারে মিচেল স্যান্টনার তিন ছক্কা হাঁকিয়েছেন বটে। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। ১৩৬ রানেই থামে তাদের ইনিংস। ১৩ রানের এই হারে বিশ্বকাপের যাত্রাও প্রায় শেষের দিকে।