টি২০ বিশ্বকাপের শ্বাসরুদ্ধকর ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকার হৃদয় ভেঙে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত। ক্যারিবীয় দ্বীপে প্রথমবার বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠে সেই অভিশাপ ঘুচানোর দুয়ারে ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। কিন্তু নাহ, ঘুরেফিরে ‘চোকার্স’ তকমাই জুটল প্রোটিয়াদের। শিরোপা মঞ্চে দক্ষিণ আফ্রিকার হৃদয় ভেঙে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হলো ভারত।
হাইনরিখ ক্লসেনের বিধ্বংসী ফিফটিতে ম্যাচ মুঠোয় ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার। কিন্তু তার বিদায়ের পর পথ হারিয়ে ফেলল তারা। দলটির আশা বাঁচিয়ে রাখা ডেভিড মিলারও শেষ ওভারে ফিরলেন দলকে হতাশ করে। শেষ দিকের দুর্দান্ত বোলিংয়ে প্রোটিয়াদের হৃদয় ভেঙে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা পুনরুদ্ধার করল ভারত।
বারবাডোজে শনিবার রোমাঞ্চকর ফাইনালে ভারতের জয় ৭ রানে। ১৭৬ রানের পুঁজি গড়ে প্রতিপক্ষকে তারা থামিয়ে দিল ১৬৯ রানে। ১৭ বছর অপেক্ষার পর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতল ভারত। টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী আসরে ২০০৭ সালে শিরোপার স্বাদ পেয়েছিল তারা। অবশেষে ফুরাল সেই অপেক্ষা। ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ইংল্যান্ডের পর দুটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতা দল এখন ভারত। একটি করে শিরোপা আছে পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, অস্ট্রেলিয়ার।
ভারতের এক জয়ের নায়কদের একজন ভিরাট কোহলি। আসর জুড়ে ব্যর্থতার বৃত্তে বন্দী ভারতীয় মহাতারকা নিজেকে মেলে ধরেন ফাইনালে। খেলেন ৫৯ বলে ৭৬ রানের চমৎকার এক ইনিংস। ব্যাট হাতে ৪৭ রান করে বড় অবদান রাখেন আকসার প্যাটেল। পরে বল হাতে আলো ছড়ান আর্শদিপ সিং ও জাসপ্রিত বুমরাহ। ৪ ওভারে ২০ রান দেন আর্শদিপ, বুমরাহ দেন কেবল ১৮। তাদের প্রাপ্তি দুটি করে উইকেট। ভারতের সফলতম বোলার অবশ্য হার্দিক পান্ডিয়া। ৩ ওভারে ২০ রানে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন তিনি।
দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ২৭ বলে সর্বোচ্চ ৫২ রান করেন হাইনরিখ ক্লসেন। কুইন্টন ডি ককের ব্যাট থেকে আসে ৩৯। ট্রিস্টান স্টাবস করেন ৩১। সংক্ষিপ্ত স্কোর: ভারত: ২০ ওভারে ১৭৬/৭ (রোহিত ৯, কোহলি ৭৬, পান্ত ০, সুরিয়াকুমার ৩, আকসার ৪৭, দুবে ২৭, পান্ডিয়া ৫, জাদেজা ২; ইয়ানসেন ৪-০-৪৯-১, মহারাজ ৩-০-২৩-২, রাবাদা ৪-০-৩৬-১, মার্করাম ২-০-১৬-০, নরকিয়া ৪-০-২৬-২, শামসি ২৩-০-২৬-০) দক্ষিণ আফ্রিকা: ২০ ওভারে ১৬৯/৮ (হেনড্রিকস ৪, ডি কক ৩৯, মার্করাম ৪, স্টাবস ৩১, ক্লসেন ৫২, মিলার ২১, ইয়ানসেন ২, মহারাজ ২*, রাবাদা ৪, নরকিয়া ১*; আর্শদিপ ৪-০-২০-২, বুমরাহ ৪-০-১৮-২, আকসার ৪-০-৪৯-১, কুলদিপ ৪-০-৪৫-০, পান্ডিয়া ৩-০-২০-৩, জাদেজা ১-০-১২-০) ফল: ভারত ৭ রানে জয়ী।