কদিন আগেই কানাডায় গ্লোবাল টি–টোয়েন্টি খেলতে যাওয়া সাকিব এক প্রবাসী বাংলাদেশি দর্শকের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডায় জড়িয়েছেন। এবার তো বড়সড় কাহিনিই ঘটিয়ে ফেললেন। ম্যাচের ২৪ ঘণ্টা পেরোতো না পেরোতেই উঠে এলো চাঞ্চল্যকর এক তথ্য। এলিমিনেটর ম্যাচে নাকি সুপার ওভার খেলতে আপত্তি জানান সাকিব, তাতেই বিদায় হয়ে গেছে তার দলের।
শুক্রবার (৯ আগস্ট) প্লে-অফের এলিমিনেটর ম্যাচে টরন্টো ন্যাশনালসের মুখোমুখি হওয়ার কথা ছিল সাকিবের বাংলা টাইগার্সের। বৃষ্টির কারণে সেদিন মাঠে খেলা না গড়ানোয় পরবর্তী রাউন্ডের ফয়সালা নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়। ক্রিকেটবিষয়ক ওয়েবসাইট ইএসপিএন ক্রিকইনফো আজ এই তথ্য জানিয়েছে।
কানাডার গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি লিগে এলিমিনেটর ম্যাচটি বৃষ্টিতে বিঘ্নিত হয়। আম্পায়াররা সিদ্ধান্ত নেন সুপার ওভার করে ম্যাচের ফলাফল নির্ণয়ের। এখানেই সমস্যা তৈরি হয়। সাকিবের নেতৃত্বাধীন বাংলা টাইগার্স মাঠে নামতে অস্বীকৃতি জানায়। ফলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় সাকিবদের বিরুদ্ধে। সুপার ওভারে দল না নামানোয় বাংলা টাইগার্স ছিটকে যায় টুর্নামেন্ট থেকেই।
সাকিবদের মাঠে না নামার অবশ্য একটা যুক্তিযুক্ত কারণ ছিল। যদি ম্যাচটি পুরোপুরি পরিত্যক্ত হয়ে যেতো, তবে গ্রুপপর্বে পয়েন্টে এগিয়ে থাকার সুবাদে কোয়ালিফায়ার-টু খেলতো বাংলা টাইগার্সই। কিন্তু আম্পায়াররা সময় স্বল্পতায় শুধু সুপার ওভার খেলানোর সিদ্ধান্ত নেন। তাতেই আপত্তি তোলেন সাকিব।
যদিও তাদের এই সিদ্ধান্ত মানতে পারেননি অধিনায়ক সাকিব। তাই না খেলার সিদ্ধান্ত জানিয়ে আর টস করতে যাননি তিনি। পরবর্তীতে ম্যাচের সমাপ্তি ঘোষণা করলে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে উঠে যায় টরেন্টো।
এভাবে টুর্নামেন্ট থেকে বাদ পড়া মানতে পারছেন না বাংলা টাইগার্সের মালিক জাফির ইয়াসিন। তাঁর যুক্তি, বিজয়ী নির্ধারণে সুপার ওভার নয়; বরং কমপক্ষে ৫ থেকে ১০ ওভারের ম্যাচ হওয়া উচিত ছিল।
তবে গ্লোবাল টি–টোয়েন্টির প্রধান নির্বাহী জয় ভট্টাচার্যের দাবি, সিদ্ধান্তটা ম্যাচ অফিশিয়ালরা নিয়েছেন এবং সবকিছু টুর্নামেন্টের নিয়ম মেনেই হয়েছে। ইএসপিএন ক্রিকইনফোকে তিনি বলেছেন, ‘এক ওভারের শুট আউট (সুপার ওভার) হেরে যাওয়া দলটির জন্য হৃদয়বিদারক হতো। তবু আমরা নিশ্চিত করতে চেয়েছিলাম যেকোনো উপায়ে এই ম্যাচে (এলিমিনেটরে) যেন ফল হয়। এই সিদ্ধান্ত টুর্নামেন্টের প্রবিধানেরই অংশ।’
এ ব্যাপারে গ্লোবাল টি–টোয়েন্টি কর্তৃপক্ষও বিবৃতি দিয়েছে। তারা জানিয়েছে, ‘টসের সময় টরন্টো ন্যাশনালসের অধিনায়ক (কলিন মানরো) উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু বাংলা টাইগার্স দল মাঠে নামতে অস্বীকৃতি জানায়। এর পরিণতি কী হতে যাচ্ছে, ম্যাচ রেফারি (কৃষ্ণ হরিহরন) সাকিব আল হাসানের কাছে সেটার যুক্তিসঙ্গত ব্যাখ্যা দেন। এরপরেই আম্পায়ার টরন্টো ন্যাশনালসকে বিজয়ী ঘোষণা করেন।’