বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) প্রতিবছরই ক্রিকেটারদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় চুক্তি নবায়ন করে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে বিসিবির সর্বশেষ প্রকাশিত কেন্দ্রীয় চুক্তিতে তিন ফরম্যাটেই ছিলেন সাকিব আল হাসান।
অনেকটা হুট করেই আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ও টেস্ট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। যা প্রভাব ফেলেছে তার আয়েও।
সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শেষ ম্যাচই ছিল সংস্করণটিতে সাকিবের শেষ ম্যাচ। ইচ্ছা অনুযায়ী দেশে ফিরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট খেলতে না পারলে সদ্য সমাপ্ত কানপুরেই টাইগার অলরাউন্ডারের শেষ টেস্ট খেলা হয়ে গেছে। যে কারণে দুই সংস্করণে আর কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকছেন না সাকিব। ফলে তার বেতন কমছে অর্ধেকেরও বেশি।
ক্রিকেটারদের কয়েকটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করে কেন্দ্রীয় চুক্তির তালিকা প্রকাশ করেছিল বিসিবি। যেখানে টেস্টে এ+ গ্রেডের বেতন সাড়ে ৪ লাখ টাকা। ওয়ানডেতে ৪ লাখ আর টি-টোয়েন্টিতে সংখ্যাটা সাড়ে ৩ লাখ। এই ক্যাটাগরিতে ছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও সাকিব আল হাসান।
কোনো ক্রিকেটারের নাম যদি তিন সংস্করণে থাকে তাহলে ক্যাটাগরি অনুযায়ী প্রথম সংস্করণের শতভাগ, দ্বিতীয় সংস্করণের ৫০ ভাগ ও তৃতীয় সংস্করণের ৪০ ভাগ টাকা পেয়ে থাকেন। এই হিসেবে সাকিব প্রতি মাসে বেতন পেতেন ৭ লাখ ৩০ হাজার টাকা। এ ছাড়া তিন সংস্করণে নির্দিষ্ট সংখ্যক ম্যাচ খেলার কোটা পূরণ করলে ক্রিকেটাররা পান বাড়তি ভাতা।
এখন টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি থেকে সরে দাঁড়ানোয় বেতনের টাকা কাটা যাবে সাকিবের। টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি না খেলায় একমাত্র ওয়ানডে চুক্তির জন্য সাকিব মাসে পাবেন ৪ লাখ টাকা করে। অবশ্য ওয়ানডে ক্যারিয়ারও বেশি দিন স্থায়ী হচ্ছে। আগামী ২০২৫ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলে এই ফরম্যাট থেকে বিদায় নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছেন টাইগার এই অলরাউন্ডার।