
আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন স্টিভেন স্মিথ। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমি-ফাইনালে হেরে যাওয়ার পর ক্যারিয়ার নিয়েও বড় সিদ্ধান্ত নিলেন স্টিভেন স্মিথ। ওয়ানডে ক্রিকেটে পথচলা থামিয়ে দিলেন তিনি। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে দুটি ওয়ানডে বিশ্বকাপজয়ী তারকাকে আর দেখা যাবে না এই সংস্করণে।
৩৫ বছর বয়সী এই ডানহাতি ব্যাটার ১৭০টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছেন। রান করেছেন ৪৩.২৮ গড়ে ও ৮৬.৯৬ স্ট্রাইক রেটে ৫৮০০। তার নামের পাশে রয়েছে ১২টি সেঞ্চুরি এবং ৩৫টি হাফ সেঞ্চুরি।
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ওয়ানডে ক্রিকেটের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকদের তালিকায় ১২তম স্থানে রয়েছেন তিনি। ২০১৬ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে করা ১৬২ রান তার ক্যারিয়ার সর্বোচ্চ স্কোর। অথচ, অস্ট্রেলিয়া দলে একজন লেগ স্পিনার হিসাবে অভিষেক হয়েছিল তার। যে কারণে বোলার স্মিথের নামের পাশে উইকেট রয়েছে ২৮টি।
২০২৭ বিশ্বকাপের লড়াইয়ে থাকতে পারতেন হয়তো। তবে নিজেকেই তিনি সেখানে দেখছেন না। বরং পথ তৈরি করে দিতে চান আগামী বিশ্বকাপের জন্য দল গড়ে তোলার।
“দারুণ এক ভ্রমণ ছিল এটি, প্রতিটি মিনিট আমি উপভোগ করেছি। এত বেশি অসাধারণ সময় কেটেছে এবং দুর্দান্ত সব স্মৃতি আছে! চমৎকার সব সতীর্থকে সঙ্গী করে দুটি বিশ্বকাপ জয় করা ছিল সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য।”
“২০২৭ বিশ্বকাপের প্রস্তুতি শুরু করে দেওয়ার উপযুক্ত সুযোগ এখনই। কাজেই আমার মনে হয়েছে, জায়গা করে দেওয়ার সঠিক সময় এসেছে।”
প্রতিক্রিয়ায় যেমন বলেছেন স্মিথ, ক্যারিয়ারের সবচেয়ে গৌরবময় অর্জন নিঃসন্দেহে দুটি বিশ্বকাপ জয়। দেশের মাঠে ২০১৫ বিশ্বকাপ জয়ে তার বড় ভূমিকাও ছিল। সাত ইনিংসে একটি সেঞ্চুরি ও চারটি ফিফটিতে ৪০২ রান করেছিলেন তিনি ৬৭ গড় ও ৯১.৫৭ স্ট্রাইক রেটে। সেমি-ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে খেলেছিলেন ৯৩ বলে ১০৫ রানের ইনিংস। ফাইনালে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে অপরাজিত ফিফটিতে জয়সূচত বাউন্ডারি এসেছিল তার ব্যাট থেকেই।
স্মিথের অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়ে নির্বাচক প্রধান জর্জ বেইলি বলেছেন, ‘আমরা স্মিথের সিদ্ধান্ত সমর্থন করছি। স্মিথ আগে অনেক বারই বলেছে যে, ক্রিকেটজীবনের এই পর্বে ও প্রতিটা সিরিজ ধরে এগোতে চাইছে। আমরা সেটা বদলাতে চাই না। তাই ওর পাশেই আছি।’