দুর্নীতি বন্ধে হাইকমিশনে মালয়েশিয়া প্রবাসীদের অবস্থান

মেহেদী হাসান,মালয়েশিয়া থেকে: ১৫ লাখ মালয়েশিয়া প্রবাসী বাংলাদেশীদের তথ্য পাচার, হয়রানি নির্যাতন ও দুর্নীতি বিরুদ্ধে মালয়েশিয়ায় ইএসকেএল এর কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধের দাবি জানিয়েছে সাধারণ প্রবাসীরা। তারা দেশটিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের ভেতরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে। ক্ষুদ্ধ প্রবাসীরা এসময় ইএসকেএল রক্ষার অপচেষ্টায় জড়িত হাইকমিশনার মোঃ শামীম আহসান, ডেপুটি হাইকমিশনার খোরশেদ আলম খাস্তগীর এবং পররাষ্ট্র সচিব জসিম উদ্দিনের অপসারণের দাবি জানান।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, প্রবাসী চুক্তির প্রায় সব শর্তই ভঙ্গ করে সরকারের কোটির টাকা আত্মাসৎসহ প্রবাসীদের থেকেও প্রায় অর্ধকোটি টাকা আত্মাসাৎ করার তথ্য গোপন করে আদালতকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে ইএসকেএল টিকিয়ে রাখতে হাইকমিশনারসহ অনেকে কাজ করছে। তাদের অপসারণ করে তদন্ত করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান প্রবাসীরা।
ডেপুটি হাইকমিশনার খোরশেদ আলম খাস্তগীর ছাত্র বৈষম্য আন্দোলনের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন উল্লেখ করে পুলিশি হয়রানি করার চেষ্টা করেছে বলেও জানান মালয়েশিয়া প্রবাসীরা। তার বিরুদ্ধে বিগত সময়ে পাসপোর্ট সিন্ডিকেট,কলিং ভিসা সিন্ডিকেট এবং আওয়ামী এজেন্ডা বাস্তায়নের অভিযোগ রয়েছে। যা বিভিন্ন গণমাধ্যমে উঠে এসেছে।
প্রবাসীদের দাবি, অবিলম্বে এই প্রতিষ্ঠান বন্ধ এবং হাইকমিশন থেকে দায়ী ব্যক্তিদের অপসারণ করতে হবে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা না নিলে আমরণ অনশন এবং দেশে রেমিট্যান্স পাঠানো বন্ধ করে দেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন প্রবাসীরা।
এ সময় বক্তব্য প্রদান করেন সাধারণ প্রবাসীদের পক্ষ থেকে মোকাম্মেল হোসেন ,আমির হোসেন, সানাউল্লাহ আরিফিন মাসুদ, রিজওয়ান হাসান, খান তরিকুল সহ অনেকে। সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে যে অবৈধভাবে রিট তৈরি করে এই বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ইএসকেএল কে বৈধতা দিয়েছে সেটা অতি বিলম্বে বাতিল করতে হবে এবং দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তাদের প্রত্যাহার করতে হবে, কোনভাবেই বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের দেশি-বিদেশি ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের অত্যন্ত সংবেদনশীল ই-পাসপোর্টের ইউজার আইডি পাসওয়ার্ড ব্যবহার করতে দেয়া যাবে না। এমনকি রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ সার্ভার ইএসকেএল এর অফিসে তাদের দখলে রাখা যাবে না।
তারা বলেন, সাত দিনের মধ্যে কোনরকম পদক্ষেপ গ্রহণ না করা হলে সাধারণ প্রবাসীরা পরবর্তীতে হাইকমিশনে গিয়ে আমরণ অনশন ঘোষণা দেওয়া হবে এবং যা যা করা দরকার সেটা করা হবে।
তারা ঘোষণা দিয়েছেন রেমিটেন্স সম্পূর্ণরূপে বন্ধ রাখা হবে যতক্ষণ পর্যন্ত এটার সঠিক সমাধান না হয়। খুব তাড়াতাড়ি তারা সাংবাদিক সম্মেলন করে আরো বিস্তারিত ঘোষণা দিবেন এই বলে তারা অবস্থান কর্মসূচি শেষ করেন।