ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেছেন, বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারতে অবস্থান সম্পূর্ণভাবে তার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। যে পরিস্থিতিতে তিনি ভারতে এসেছিলেন, সেই বাস্তবতার দ্বারাই এটি প্রভাবিত।
শনিবার (৬ ডিসেম্বর) নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত এইচটি লিডারশিপ সামিটে এনডিটিভির সিইও ও এডিটর-ইন-চিফ রাহুল কানওয়ালের সঙ্গে এক আলোচনায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
গত বছরের আগস্টে বাংলাদেশে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনার ১৫ বছরের শাসনের অবসান ঘটে। ওই সময় ব্যাপক সহিংসতায় শত শত মানুষের প্রাণহানি ও হাজার হাজার মানুষ আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় ভারতে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী।
গত মাসে ঢাকার বিশেষ আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত শিক্ষার্থী-জনতার আন্দোলনে সরকারি দমন-পীড়নের অভিযোগে ৭৮ বছর বয়সী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের সাজা ঘোষণা করেছে। তার অনুপস্থিতিতেই আদালত এই রায় ঘোষণা করেছে।
শেখ হাসিনা কী যতদিন ইচ্ছা ভারতে থাকতে পারবেন? এমন প্রশ্নে জয়শঙ্কর বলেন, ‘এটা ভিন্ন বিষয়। তিনি যে পরিস্থিতিতে এখানে এসেছেন, সেই পরিস্থিতিই তার ভবিষ্যৎ নির্ধারণে বড় একটি ভূমিকা পালন করবে। কিন্তু আবারও বলছি, এটি এমন একটি বিষয় যেখানে শেষ পর্যন্ত তাকেই নিজের সিদ্ধান্ত নিজেকেই নিতে হবে।’ এরপর আলোচনায় ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের বর্তমান প্রেক্ষাপট নিয়ে কথা বলেন জয়শঙ্কর। তিনি বাংলাদেশে একটি বিশ্বাসযোগ্য ও গ্রহণযোগ্য গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া নিশ্চিতের প্রতি ভারতের চাওয়ার ওপর জোর দেন।
বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি প্রসঙ্গে জয়শঙ্কর বলেন, ‘আমরা শুনেছি, বাংলাদেশের মানুষ বিশেষ করে বর্তমান শাসকগোষ্ঠীর অভিযোগ, আগের নির্বাচনের প্রক্রিয়ায় সমস্যা ছিল। যদি নির্বাচন নিয়েই আপত্তি থাকে, তাহলে প্রথম কাজ হওয়া উচিত একটি সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করা।’



