
উত্তেজনার শুরু হয়েছিল আরও কিছুদিন আগেই, তবে তা এতদিন সীমাবদ্ধ ছিল সাময়িক গোলাগুলির মধ্যে। এবার পরিস্থিতি গুরুতর আকার ধারণ করেছে—ভারত ও পাকিস্তান সরাসরি সংঘাতে জড়িয়েছে। বাংলাদেশ সময় ৬ মে দিবাগত রাতে পাকিস্তানের নয়টি স্থানে ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামে মিসাইল হামলা চালিয়েছে ভারত। পাল্টা প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে পাকিস্তানও।
এই সংঘাতের প্রভাব পড়েছে আইপিএলের ওপরও। যেসব ম্যাচ নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে, তার মধ্যে তিনটিতে রয়েছে লখনৌ সুপার জায়ান্টসের অংশগ্রহণ। এছাড়া একটি করে ম্যাচ রয়েছে ব্যাঙ্গালোর, পাঞ্জাব, মুম্বাই, দিল্লি ও হায়দরাবাদে। বিশেষ করে লখনৌ অঞ্চলে অনুষ্ঠিতব্য দুটি ম্যাচ নিয়ে শঙ্কা সবচেয়ে বেশি।
এমন পরিস্থিতিতে উত্তর প্রদেশের ডিরেক্টর জেনারেল অব পুলিশ (ডিজিপি) ইতোমধ্যে স্টেডিয়ামসহ জনগুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোতে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি ভারত সরকার জানিয়েছে, দেশটিতে অবস্থানরত বিদেশি নাগরিকদের জন্য সর্বোচ্চ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
এই সংকটের ছায়া আইপিএলের বাকি অংশেও পড়েছে। পরিস্থিতি আরও জটিল হলে ভেন্যু পরিবর্তনের সম্ভাবনাও রয়েছে। এর আগে ২০০৯ সালে পুরো টুর্নামেন্টই দক্ষিণ আফ্রিকায় স্থানান্তর করা হয়েছিল। ২০১৪ সালে নির্বাচনের কারণে টুর্নামেন্টের একটি বড় অংশ ভারত থেকে সরিয়ে নেয়া হয়েছিল।
২০২৫ সালে পরিস্থিতি আইপিএলকে কোন পথে নিয়ে যায়—সেটিই এখন দেখার বিষয়।