
রাজধানীর মিরপুরের পশ্চিম শেওড়াপাড়ায় দুই বোনকে হত্যার ঘটনায় একটি সিসি ক্যামেরার ফুটেজে ধরা পড়া অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তিকে খুঁজছে পুলিশ। ওই ব্যক্তির মুখে সার্জিক্যাল মাস্ক এবং মাথায় কমলা রঙের ক্যাপ ছিল। পুলিশ সন্দেহ করছে, তিনিই এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকতে পারেন।
ঘটনাটি ঘটে শুক্রবার (৯ মে) রাত ৯টার দিকে। ওই সময় পশ্চিম শেওড়াপাড়ার একটি বাড়ির দোতলার ফ্ল্যাট থেকে মরিয়ম বেগম (৬০) ও তার ছোট বোন সুফিয়া বেগমের (৫২) রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত মরিয়ম বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) সাবেক কর্মকর্তা ছিলেন।
মিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাজ্জাদ রোমন জানান, সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, শুক্রবার দুপুর ৩টার দিকে নীল জিনস ও গাঢ় নীল শার্ট পরা এক ব্যক্তি ওই বাড়ির দোতলায় ওঠেন। তার হাতে একটি কালো ব্যাগ ছিল। তিনি প্রায় দেড় ঘণ্টা পর পোশাক পরিবর্তন করে মাথা নিচু অবস্থায় ভবন থেকে বেরিয়ে যান। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তাকে দোতলা থেকে নামতে দেখা যায়।
পুলিশ ধারণা করছে, ওই ব্যক্তি দুই বোনকে মসলা বাটার শিলপাটা ও ছুরি ব্যবহার করে হত্যা করে থাকতে পারেন। সন্দেহভাজন ব্যক্তি সম্পর্কে জানা ও তাকে শনাক্ত করার জন্য তদন্ত চলছে। ওসি সাজ্জাদ রোমন বলেন, “আমরা ফুটেজ বিশ্লেষণ করছি এবং সন্দেহভাজনকে চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে। আশা করছি, দ্রুতই তাকে শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করতে পারবো।”
এ ঘটনায় বাড়িটির নিরাপত্তাকর্মীকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
ঘটনার দিন রাত ৯টার দিকে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। নিহত মরিয়মের মেয়ে নুসরাত জাহান ফ্ল্যাটের দরজা বাইরে থেকে তালাবদ্ধ অবস্থায় খুলে মায়ের ও খালার রক্তাক্ত মরদেহ দেখতে পান।
ডিএমপির মিরপুর জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) মো. মিজানুর রহমান জানান, নিহতদের শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে এবং পুলিশ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনে কাজ করছে।