
বেলা ২টায় স্টেডিয়ামে প্রবেশের গেইট খুলে দেওয়ার কথা থাকলেও তা হয়েছে আড়াইটা নাগাদ। স্টেডিয়ামে প্রবেশের পর দর্শকদের উন্মাদনা ছিল চোখে পড়ার মতো। জ্যৈষ্ঠ মাসের রোদে অতিরিক্ত অপেক্ষাও ক্লান্ত করেনি ভক্তদের। সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ ফুটবলের নতুন জোয়ারের প্রমাণ ছিল এই উচ্ছ্বাস। তবে মাঠে যথাসময়ে ঢুকতে পারলেও টিকিট নিয়ে পুরোনো অভিযোগগুলো আবার প্রকাশ পেয়েছে।
ধানমণ্ডি থেকে আসা স্কুলপড়ুয়া কিশোর জানালেন, টানা তিন দিন চেষ্টা করে ম্যাচের টিকিট পেয়েছেন। একই কথা বলছেন আরও অনেকে। বেশিরভাগই টিকিট পেতে অপেক্ষা করেছেন দীর্ঘ সময়। নারায়ণগঞ্জ থেকে আসা একাধিক ভক্ত জানালেন, একজনই প্রায় ২০টি টিকিট পেয়েছেন টিকিফাইয়ের সার্ভার থেকে।
টিকিট নিয়ে বিতর্ক থাকলেও মাঠে দর্শকের ব্যাপক উপস্থিতি দেখা গেছে। খেলা ৭টায় শুরুর কথা থাকলেও গেইট বন্ধ হওয়ার সময় ছিল বিকেল ৫টা। সাড়ে ৩টার মধ্যে গ্যালারির এক চতুর্থাংশ ভর্তি হয়ে যায়। হোম জার্সির সঙ্গে মিলিয়ে সাদার শুভ্রতায় গ্যালারি ভরে ওঠে।
জামাল ভূঁইয়া ও তারিক কাজীকে কৃতজ্ঞতা জানানোর মানুষও কম নেই। প্রবাসী ফুটবলারদের আগমন ও তাদের ট্যাকটিকাল স্কিল বাংলাদেশ ফুটবলকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার প্রত্যাশা প্রকাশ করেছেন অনেকেই। রনি নামের একজন ভক্ত বলেন, “প্রবাসী ফুটবলারদের আগ্রহ আগেও ছিল, কিন্তু বর্তমান বাফুফে তাদের নিয়ে আসার উদ্যোগ নিয়েছে, যা দর্শকদের ফিরিয়ে আনার পেছনে কার্যকরী ভূমিকা রাখছে।”
প্রবাসী ফুটবলারদের নিয়ে উচ্চাশা বেশি। হামজা, সামিত, ফাহমিদুলদের নিয়ে আলোচনা চলছে। খেলা দেখতে আসা ভক্তদের মধ্যে হামজা চৌধুরী ও সামিতের প্রতি আগ্রহ সবচেয়ে বেশি। তবে স্কোরিং সমস্যা সমাধানে ফাহমিদুল ইসলামকেই খুঁজছেন অনেকেই।