রীতিমতো উড়ছিল প্যারিস সেন্ট জার্মেই (পিএসজি)। প্রথমবারের মতো উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগে শিরোপা জয়ের পর ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপে অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে ৪-০ গোলের জয়ে দুর্দান্ত সূচনা করে ফরাসি জায়ান্টরা। তবে তৃতীয় ম্যাচেই থেমে যেতে হয় লুইস এনরিকের দলকে। বাংলাদেশ সময় শুক্রবার ভোরে রোজ বোল স্টেডিয়ামে ব্রাজিলিয়ান ক্লাব বোটাফোগোর কাছে ১-০ গোলে হারে তারা।
৫৩ হাজার ৬৯৯ দর্শক ধারণক্ষমতার স্টেডিয়ামে ম্যাচজুড়ে দাপট দেখায় পিএসজি। বল দখলে প্রায় ৭৫ শতাংশ, ১৬টি শটের মধ্যে ২টি লক্ষ্যে, ৯০ শতাংশ পাসের সাফল্য—সব কিছুতেই এগিয়ে ছিল তারা। তবে একটাই ঘাটতি ছিল: গোল। সেই সুযোগটাই কাজে লাগায় বোটাফোগো।
৩৬ মিনিটে ম্যাচের একমাত্র গোলটি করেন ব্রাজিলিয়ান তরুণ ইগোর জেসুস। মাঝমাঠ থেকে জেফারসন সাবারিনোর পাস ধরে একজনকে কাটিয়ে দারুণ শটে গোল করেন তিনি। গোলরক্ষক দোন্নারুমা শুধু তাকিয়েই দেখেন বল জালে প্রবেশ করতে। ১৭ মে’র পর এটিই পিএসজির জালে প্রথম গোল। গোলের পর উল্লাসে ফেটে পড়ে বোটাফোগো সমর্থকরা। গুঞ্জন আছে, জেসুস আগামী মৌসুমে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের দল নটিংহ্যাম ফরেস্টে যোগ দিতে পারেন।
দ্বিতীয়ার্ধে পিএসজি ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে। ৫০ মিনিটে ভিতিনহার নেওয়া এক দুর্দান্ত ফ্রি-কিক ফিরিয়ে দেন বোটাফোগোর গোলরক্ষক জন ভিক্টর। এরপর ৭৯ মিনিটে ব্র্যাডলি বারকোলার শট জালে জড়ালেও অফসাইডের কারণে গোল বাতিল হয়। শেষ পর্যন্ত গোলের দেখা পায়নি পিএসজি।
গত ৩ মে’র পর এই প্রথম কোনো ম্যাচে হারের স্বাদ পেল পিএসজি। দক্ষিণ আমেরিকার চ্যাম্পিয়ন বোটাফোগোর কাছে হারায় ইউরোপের সেরা দলটির দাপটেও এবার থামতে হলো।
এই জয়ে গ্রুপ ‘বি’-এর শীর্ষে উঠেছে বোটাফোগো। এখন পর্যন্ত খেলা দুই ম্যাচেই জয় পেয়ে তাদের সংগ্রহ ৬ পয়েন্ট। সমান ৩ পয়েন্ট করে পাওয়া পিএসজি ও অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদ রয়েছে যথাক্রমে দুই ও তিন নম্বরে। গোল ব্যবধানে এগিয়ে থাকায় পিএসজি রয়েছে অ্যাতলেটিকোর ওপরে।



